শিশুদের খেলনা নিয়ে ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের কারণ? তোলপাড়!

ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি এবং শিশুদের খেলনা বিষয়ক মন্তব্যের জেরে বিতর্ক

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমদানি শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের সমর্থনে দেওয়া বক্তব্যে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তিনি সম্প্রতি বলেছেন, এই শুল্কের কারণে পণ্যের দাম বাড়লেও, দেশের অর্থনীতির উন্নতির জন্য এটি জরুরি।

ট্রাম্পের মতে, শিশুদের, বিশেষ করে মেয়ে শিশুদের অনেক পুতুলের প্রয়োজন নেই। তার এই মন্তব্যের জেরে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, কিভাবে খেলনার বিষয়টি শুল্কনীতির মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় থেকে মনোযোগ সরিয়ে দিতে চাইছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই কৌশল অনেকটা বিভ্রান্তিকর। কারণ, শুল্কের ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস, যেমন পোশাক, গাড়ি, নির্মাণ সামগ্রী এবং খাদ্যপণ্যের দামও বাড়তে পারে।

কিন্তু ট্রাম্প শিশুদের খেলনার উদাহরণ দিয়ে আলোচনা অন্যদিকে ঘোরাতে চাইছেন।

ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই শুল্ক নীতি দেশের উৎপাদন খাতকে শক্তিশালী করবে এবং এর ফলে কর্মসংস্থান বাড়বে।

তাদের মতে, এর মাধ্যমে শ্রমিক শ্রেণির মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে। তবে সমালোচকরা বলছেন, শুল্কের কারণে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেলে সাধারণ মানুষের জীবন আরও কঠিন হয়ে পড়বে।

বিষয়টি নিয়ে রিপাবলিকান দলের অনেক সদস্যের মধ্যেও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা মনে করছেন, দেশের শীর্ষস্থানীয় ধনী ব্যক্তিদের কাছ থেকে আসা এই ধরনের বক্তব্য সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে।

কারণ, যারা দেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী পদে আছেন, তাদের জীবনযাত্রার সঙ্গে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার কোনো মিল নেই। তারা বলছেন, শুল্কের কারণে শিশুদের খেলনা কমিয়ে দেওয়ার কথা বলাটা বাস্তবতার থেকে অনেক দূরে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, শুল্ক আরোপের ফলে একদিকে যেমন কিছু স্থানীয় ব্যবসার উন্নতি হতে পারে, তেমনি এর কারণে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যেও প্রভাব পড়তে পারে।

তারা বলছেন, শুল্ক নীতি গ্রহণের আগে এর সম্ভাব্য ভালো-মন্দ দিকগুলো ভালোভাবে বিবেচনা করা উচিত।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *