মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রস্তাব, জানা যাচ্ছে খবর
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে (State Department) ব্যাপক পরিবর্তনের একটি প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রস্তাবটি যদি কার্যকর হয়, তবে তা হবে দেশটির পররাষ্ট্রনীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন।
বিভিন্ন সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এই পরিবর্তনের পরিকল্পনা করছে। এই পরিবর্তনের ফলে আফ্রিকা মহাদেশের সাব-সাহারা অঞ্চলের কার্যক্রম, জলবায়ু পরিবর্তন, শরণার্থী, মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং নারী অধিকার বিষয়ক বিভাগগুলোতে বড় ধরনের কাটছাঁট হতে পারে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাঠামো পরিবর্তনের পরিকল্পনা
বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই পরিবর্তনের অংশ হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চারটি আঞ্চলিক বিভাগে ভাগ করার প্রস্তাব করা হয়েছে: ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, ল্যাটিন আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরেশিয়া। এছাড়াও, জাতিসংঘ সহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের দায়িত্বে থাকা আন্তর্জাতিক সংস্থা বিষয়ক ব্যুরো বিলুপ্ত করার প্রস্তাব রয়েছে।
কানাডায় কূটনৈতিক কার্যক্রমও কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
আফ্রিকা এবং অন্যান্য অঞ্চলের উপর প্রভাব
প্রস্তাবিত পরিবর্তন অনুযায়ী, সাব-সাহারান আফ্রিকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলোর মধ্যে কিছু বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। এই সিদ্ধান্তের ফলে ওই অঞ্চলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে প্রভাব পড়তে পারে।
পরিবর্তনের কারণ এবং বাস্তবায়ন
এই পরিবর্তনের কারণ হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আরও সুসংগঠিত করা এবং কার্যক্রমের দক্ষতা বৃদ্ধি করার কথা বলা হচ্ছে। প্রস্তাবিত পরিবর্তনের অংশ হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাজেট কমানো এবং কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনা হতে পারে।
জানা গেছে, নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীর বিদেশি নীতি সম্পর্কে ধারণা এবং প্রেসিডেন্টের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়াকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এছাড়া, পররাষ্ট্র বিষয়ক পরীক্ষার (Foreign Service Exam) বিলুপ্তি ঘটানোরও প্রস্তাব করা হয়েছে।
অন্যান্য প্রস্তাবনা
শুধু তাই নয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাজেট ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমানোর এবং বেশ কয়েকটি দূতাবাস ও কনস্যুলেট বন্ধ করার প্রস্তাবও এসেছে। তবে, এই পরিবর্তনের বিষয়ে মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশের জন্য প্রভাব
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে এই পরিবর্তনের ফলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা কার্যক্রমের ধরনে পরিবর্তন আসতে পারে। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান সম্পর্ক এবং উন্নয়ন অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রেও এর কিছু প্রভাব ফেলতে পারে।
বিশেষ করে, জাতিসংঘের বিভিন্ন কার্যক্রমে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণের প্রেক্ষাপটে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
তথ্য সূত্র: The Guardian