মার্কিন সামরিক বাহিনীর একটি অভিযানে ক্যারিবিয়ান সাগরে একটি সন্দেহভাজন মাদক পাচারকারী নৌকায় হামলা চালানো হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত ১১ জন নিহত হয়েছে।
তবে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, এই হামলার কারণ হিসেবে যে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, তা যথেষ্ট নয়।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী এই অভিযানটি চালায়। নিহত ব্যক্তিরা ভেনেজুয়েলার একটি অপরাধী চক্র ‘ট্রেন দে আরাগয়া’র সদস্য ছিল বলে জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্র এই চক্রটিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো সংগঠনকে সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হলেই যে তাদের বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে, তা নয়।
আইনজ্ঞদের মতে, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুনির্দিষ্ট প্রমাণ এবং আইনি ভিত্তি থাকতে হয়। এক্ষেত্রে, নিহত ব্যক্তিদের সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচনা করার যথেষ্ট কারণ উপস্থাপন করা হয়নি।
এমনকি, হামলার আগে তাদের আটকের সুযোগ ছিল কি না, সে বিষয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
ট্রাম্প প্রশাসন অবশ্য এই অভিযানের পক্ষে তাদের অবস্থান তুলে ধরেছে। তাঁরা বলছেন, মার্কিন সংবিধানের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, দেশের নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে প্রেসিডেন্ট সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারেন।
কিন্তু সমালোচকেরা বলছেন, এই ধরনের ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রেও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মাদক পাচারকারীদের সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করা এবং তাদের বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা নেওয়ার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।
মাদক পাচারকারীরা সাধারণত ফৌজদারি অপরাধী হিসেবে বিবেচিত হয়, যাদের বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনতে হয়।
এই ঘটনার পর, মার্কিন কংগ্রেসেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অনেক আইনপ্রণেতা এই অভিযানের বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন।
তাঁরা জানতে চান, সামরিক বাহিনী কীভাবে এই অভিযান পরিচালনা করলো, কারা এর লক্ষ্য ছিল, এবং কেন এই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হলো।
কিন্তু এখন পর্যন্ত বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
অভিযানটির বৈধতা নিয়ে বিতর্ক এখনো চলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ না করা হলে, এই ধরনের সামরিক পদক্ষেপের ন্যায্যতা প্রমাণ করা কঠিন হবে।
তথ্য সূত্র: আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম