যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে টিকটক-এর ভাগ্য এখনো অনিশ্চিত। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি সম্প্রতি টিকটক-এর মালিকানা সংক্রান্ত সময়সীমা বাড়িয়েছেন, চীনের এই ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপটিকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন।
এখন চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্স-কে তাদের মার্কিন সম্পদ কোনো অ-চীনা কোম্পানির কাছে বিক্রি করার জন্য আরও সময় দেওয়া হয়েছে।
জানুয়ারিতে টিকটক-এর উপর নিষেধাজ্ঞা জারির কথা ছিল, যা এখন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের কারণ হলো, চুক্তি সম্পন্ন করতে আরও কিছু অনুমোদনের প্রয়োজন।
এই চুক্তির অংশ হিসেবে বাইটড্যান্স-এর বৃহত্তম অ-চীনা বিনিয়োগকারীরা তাদের অংশীদারিত্ব বাড়াতে এবং টিকটক-এর মার্কিন কার্যক্রম অধিগ্রহণ করতে পারে। এছাড়া, টিকটক-এর একটি মার্কিন সত্তা তৈরি করার পরিকল্পনাও রয়েছে, যার ফলে নতুন ব্যবসায় চীনা মালিকানা ২০ শতাংশের নিচে নেমে আসবে।
এই বিষয়ে আলোচনা এখনো চলছে এবং এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে জেফ ইয়াসের সাসকুহানা ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ এবং বিল ফোর্ডের জেনারেল আটলান্টিক। ওয়ালমার্টও টিকটকের সাথে চুক্তিতে বিনিয়োগের কথা বিবেচনা করছে।
তবে, এই চুক্তির পথে সবচেয়ে বড় বাধা হলো চীনা সরকারের অনুমোদন। বেইজিং এখনো পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি।
টিকটকের পক্ষ থেকেও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক এখন বেশ জটিল। দুই দেশের মধ্যে শুল্ক আরোপ নিয়ে টানাপোড়েন চলছে।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, বাইটড্যান্স-এর সাথে চুক্তি সম্পন্ন হলে তিনি চীনের উপর শুল্ক কমাতে রাজি আছেন।
টিকটকের ভবিষ্যৎ নিয়ে হোয়াইট হাউসের আলোচনা এখনো চলছে। জানা গেছে, টিকটক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেক মার্কিন নাগরিকের সমান।
এই পরিস্থিতিতে, টিকটকের ভাগ্য নির্ধারণের বিষয়টি শুধু একটি অ্যাপের বিষয় নয়, বরং এটি বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি বাজারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্য সূত্র: রয়টার্স
