যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের লাইব্রেরিয়ান কার্লা হায়ডেনকে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার এক বছর আগেই বরখাস্ত করা হয়েছে। শুক্রবার (৯ই মে) এই খবর নিশ্চিত করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম।
২০১৬ সাল থেকে এই পদে আসীন ছিলেন তিনি।
হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংক্ষিপ্ত ইমেইলে ডেপুটি ডিরেক্টর অফ প্রেসিডেন্সিয়াল পার্সোনেল, ট্রেন্ট মোর্স, হায়ডেনকে জানান, তার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বারাক ওবামা কর্তৃক নিযুক্ত হায়ডেন ২০১৭ সালে সিনেটে ৭৪-১৮ ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
তিনি ছিলেন এই পদে আসীন প্রথম নারী এবং প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান।
জানা গেছে, হায়ডেনকে বরখাস্ত করার আগে একটি রক্ষণশীল সংগঠন, ‘American Accountability Foundation’, তার বিরুদ্ধে “চরম লিঙ্গ পরিচয়” বিষয়ক বইগুলোর প্রবেশাধিকার দেওয়ার অভিযোগ এনেছিল।
সম্প্রতি তিনি সিনেট এবং হাউস অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কমিটিতে লাইব্রেরির কর্মী ও সিস্টেম উন্নত করার বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।
লাইব্রেরি অফ কংগ্রেসের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, হায়ডেনের লক্ষ্য ছিল এই প্রতিষ্ঠানের মিশনকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করা এবং আধুনিকীকরণ করা।
এর মাধ্যমে কংগ্রেস এবং আমেরিকান জনগণকে জ্ঞান ও সৃজনশীলতার একটি নির্ভরযোগ্য উৎস সরবরাহ করা। তিনি তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামো এবং ডিজিটাইজেশন এর ওপর জোর দিয়েছিলেন এবং লাইব্রেরির সংগ্রহে অনগ্রসর সম্প্রদায়ের মানুষের অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করেন।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ডেমোক্র্যাট নেতারা একে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের উপর আঘাত হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতারা মনে করেন, এই সিদ্ধান্ত আমেরিকার মূল্যবোধের পরিপন্থী।
হাউসের সংখ্যালঘু নেতা হাকিম জেফ্রিস এই পদক্ষেপকে “অন্যায্য” বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি বলেন, “ড. কার্লা হায়ডেন একজন দক্ষ, নীতিবান এবং বিশিষ্ট লাইব্রেরিয়ান ছিলেন। তার ঐতিহাসিক মেয়াদে এই প্রতিষ্ঠান নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।”
সিনেটের সংখ্যালঘু নেতা চাক শুমার একে ডেমোক্রেসি দুর্বল করার এবং সরকারি কর্মকর্তাদের শাস্তি দেওয়ার একটি প্রচেষ্টা হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
লাইব্রেরি অফ কংগ্রেস যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গ্রন্থাগার হিসেবে পরিচিত, যা বাংলাদেশের জাতীয় গ্রন্থাগারের মতোই গুরুত্বপূর্ণ।
এই ধরনের ঘটনার প্রেক্ষাপটে, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের সম্ভাবনা নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
তথ্য সূত্র: পিপল