লরা লুমারের কথায় কর্মকর্তাদের বরখাস্ত, ট্রাম্পের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত!

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতা ছাড়ার পরও তার কিছু সিদ্ধান্ত এখনও আলোচনার জন্ম দিচ্ছে। সম্প্রতি জানা গেছে, ট্রাম্প ক্ষমতা থাকা অবস্থায় এক বিতর্কিত ডানপন্থী রাজনৈতিক কর্মীর সঙ্গে বৈঠকের পর বেশ কয়েকজন জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছিলেন।

এই খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, লরা লুউমার নামের ওই রাজনৈতিক কর্মী ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাত করে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ তুলে ধরেন। লুউমার বিভিন্ন সময়ে বিতর্কিত মন্তব্য এবং কর্মকাণ্ডের জন্য পরিচিত।

তিনি উগ্র ডানপন্থী হিসেবেও পরিচিত, এবং বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম ও প্ল্যাটফর্মে তার প্রবেশাধিকারও সীমিত করা হয়েছে। জানা গেছে, লুউমারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক ব্রায়ান ওয়ালশ, আইন বিষয়ক পরিচালক থমাস বুডরি এবং প্রযুক্তি ও জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক পরিচালক ডেভিড ফেইথ।

সিগনাল নামক একটি মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদান-প্রদানের ঘটনায় তাদের অপসারণ করা হয়েছে বলে জানা যায়।

বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানতে গিয়ে জানা যায়, হোয়াইট হাউজের অভ্যন্তরে নিরাপত্তা বিষয়ক তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে কিছু গুরুতর ত্রুটি ছিল।

কর্মকর্তাদের মধ্যে সংবেদনশীল তথ্য আদান-প্রদানের জন্য সিগনাল অ্যাপ ব্যবহার করা হতো। এমনকি কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত ইমেইল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেও সরকারি কাজকর্ম পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে।

এসব কারণে জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল।

আলোচিত এই বৈঠকের সময় ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভেন্স, হোয়াইট হাউজের চিফ অফ স্টাফ সুজি উইলস এবং যোগাযোগ পরিচালক স্টিভেন চ্যাংয়ের উপস্থিতিও ছিল।

এছাড়া, ২০২০ সালের নির্বাচনের ফল পরিবর্তনে ট্রাম্পের সহযোগী হিসেবে পরিচিত রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান স্কট পেরিও বৈঠকে যোগ দেন।

লুমার এর আগেও বিভিন্ন সময়ে তার বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য সমালোচিত হয়েছেন। এমনকি, তিনি বিভিন্ন সময়ে বর্ণবাদী মন্তব্যও করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মকর্তাদের বরখাস্তের এই ঘটনা দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

বিষয়টির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি এবং ঘটনার গভীরে যেতে তদন্ত চলছে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *