যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে বিশ্বজুড়ে শুল্ক আরোপের যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিলো, তা এখনো আলোচনার বিষয়। ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি করেছিলেন, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে নতুন দিকে মোড় দিয়েছিলো।
এই শুল্ক নীতির পরিবর্তন এবং এর প্রভাব সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান।
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রায়ই বলতেন, শুল্ক তার পছন্দের একটি শব্দ। তিনি বিভিন্ন সময়ে শুল্কের হার বাড়িয়েছেন এবং কমিয়েছেন, এমনকি নতুন করে শুল্ক আরোপের হুমকিও দিয়েছেন।
একবার যে শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটিও যে কোনো সময় পরিবর্তন হতে পারে, এমন নজিরও দেখা গেছে।
তবে, ট্রাম্পের এই শুল্ক আরোপের ক্ষমতা এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার সম্মুখীন। কারণ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালত (Court of International Trade)-এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ রায় এসেছে, যার বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসন আপিল করেছে।
এই আপিলগুলোর ফলাফল কী হবে, সেদিকে এখন সবার নজর।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের এই শুল্ক নীতির কারণে বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে। এর মধ্যে কিছু দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আবার কিছু পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় ভোক্তাদের ওপরও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
বাংলাদেশের জন্য এই শুল্ক নীতি কতটা গুরুত্বপূর্ণ? বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই শুল্ক নীতির কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সরাসরি প্রভাব না পড়লেও, কিছু ক্ষেত্রে পরোক্ষ প্রভাব পড়তে পারে।
উদাহরণস্বরূপ, যুক্তরাষ্ট্র যদি অন্য কোনো দেশের ওপর শুল্ক বাড়ায়, তবে সেই দেশের রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যা বাংলাদেশের বাজারেও প্রভাব ফেলতে পারে।
এছাড়াও, বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থায় অস্থিরতা তৈরি হলে, তা বাংলাদেশের বাণিজ্যকেও প্রভাবিত করতে পারে। তাই, বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদ এবং বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা এই পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং এর সম্ভাব্য প্রভাবগুলো বিশ্লেষণ করছেন।
তারা মনে করেন, বাংলাদেশের উচিত হবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকা।
বর্তমানে, ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক নীতি নিয়ে আইনি লড়াই চলছে। এই লড়াইয়ের ফলাফল বাণিজ্য নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে, যা বিশ্ব অর্থনীতির গতিপথও বদলে দিতে পারে।
তথ্য সূত্র: CNN