যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতি কঠোর করতে গ্রিন কার্ড প্রক্রিয়াকরণ স্থগিত করলো ট্রাম্প প্রশাসন। বিভিন্ন সূত্রে খবর, এই সিদ্ধান্তের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি চেয়ে আবেদনকারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
জানা গেছে, শরণার্থীদের আবেদনও এই স্থগিতাদেশের অন্তর্ভুক্ত।
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অভিবাসন প্রত্যাশীদের আরও ভালোভাবে যাচাই করার জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা বিভাগ (Department of Homeland Security) জানাচ্ছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দুটি নির্বাহী আদেশের (Executive Order) সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই বিভাগের মতে, সম্ভাব্য জালিয়াতি, জননিরাপত্তা এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতেই এই প্রক্রিয়া।
গ্রিন কার্ড হলো যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস ও কাজ করার অনুমতিপত্র। সাধারণত, যারা এই কার্ডের জন্য আবেদন করেন, তাদের ‘অ্যাডজাস্টমেন্ট অফ স্ট্যাটাস’ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।
এর মাধ্যমেই তারা যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার সুযোগ পান।
এই পদক্ষেপ এমন এক সময়ে নেওয়া হলো, যখন ম্যানহাটনের একটি ফেডারেল আদালত সম্প্রতি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিবাসন কর্মকর্তাদের ডিটেন করার সিদ্ধান্তকে স্থগিত করেছে।
ওই শিক্ষার্থীর নাম ইউনসিও চং। তিনি একজন বৈধ স্থায়ী বাসিন্দা এবং গাজা সংহতি বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন। জানা যায়, তিনি সাত বছর বয়স থেকে যুক্তরাষ্ট্রেই বসবাস করছেন।
আদালতে দায়ের করা এক মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসন আইনকে ব্যবহার করে ভিন্ন মত দমনের চেষ্টা করছে।
আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মীরা মনে করছেন, ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে অনেককে টার্গেট করা হচ্ছে। এমনকি, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া অন্তত পাঁচজন শিক্ষার্থী ও শিক্ষককেও অভিবাসন দপ্তর চিহ্নিত করেছে।
সংবিধান বিষয়ক একটি কেন্দ্রের আইনজীবী সামাহ সিসাই জানিয়েছেন, ভিসা ও স্থায়ী বাসিন্দাদের রাজনৈতিক মত প্রকাশের কারণে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন চাইছে, তাদের নীতির বিরুদ্ধে যাওয়া রাজনৈতিক বক্তব্যকে দমন করতে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান