সৌদি আরবসহ ধনী দেশগুলোতে ট্রাম্পের সফর: চমক অপেক্ষা করছে?

ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে মধ্যপ্রাচ্য সফরে, ধনী দেশগুলোর প্রত্যাশা।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম সফরে মধ্যপ্রাচ্যে যাচ্ছেন। তাঁর এই সফরে সৌদি আরব, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করার সম্ভাবনা রয়েছে। এই দেশগুলো ট্রাম্পের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করেছে এবং তাঁর প্রতিশ্রুত বিভিন্ন বিনিয়োগের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান আরও সুসংহত করতে চাইছে।

আগামী মঙ্গলবার ট্রাম্প প্রথমে সৌদি আরবে অবতরণ করবেন, এরপর কাতার এবং সবশেষে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করবেন, যা ১৬ই মে পর্যন্ত চলবে। এই সফরকালে তিনটি দেশই তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন চাইছে। তাদের প্রধান লক্ষ্য হলো—যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তি চূড়ান্ত করা, বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং বাণিজ্য সম্পর্ক আরও গভীর করা।

সৌদি আরবের প্রধান চাওয়া হলো—যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি শক্তিশালী নিরাপত্তা চুক্তি স্থাপন করা। তারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি চাইছে। সৌদি আরব তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তার জন্য পারমাণবিক শক্তি কর্মসূচিতে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা পেতে আগ্রহী। তারা এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে।

অন্যদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) চাইছে প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-এর ক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করতে। তারা এই খাতে বিশাল বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এআই প্রযুক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে কিছু ছাড় পেতে আগ্রহী। ইউএই-এর লক্ষ্য হলো ২০৩১ সালের মধ্যে এআই-এর ক্ষেত্রে বিশ্বে নেতৃত্ব দেওয়া।

কাতার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের নিরাপত্তা সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায়। তারা বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটিগুলোর একটির স্বাগতিক। কাতার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংঘাতে ভূমিকা রাখে এবং সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়েও ট্রাম্প প্রশাসনের সমর্থন চাইছে।

মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশগুলো মনে করে, ট্রাম্পের এই সফর তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। তারা চাইছে, এই সফরের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্পের এই সফরের মূল উদ্দেশ্য হলো—যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি এবং তাঁর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের স্বার্থ রক্ষা করা। তাই এই সফরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি ও ঘোষণা আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *