যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা, ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট’ (আইসিই)-এর হেফাজতে নেওয়া ব্যক্তিদের সম্পর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে তাদের নিজেদের প্রকাশিত হিসাবের মিল নেই।
সম্প্রতি সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, আইসিই যাদের গ্রেপ্তার করেছে, তাদের মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশের কম ব্যক্তির বিরুদ্ধে খুনের মতো গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্প প্রশাসন প্রায়ই অভিবাসন বিরোধী কঠোর পদক্ষেপের পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে, আইসিই-এর হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের ভয়ঙ্কর অপরাধী হিসেবে চিত্রিত করে।
তারা এদের সন্ত্রাসী এবং বিভিন্ন গ্যাংয়ের সদস্য বলেও উল্লেখ করে।
কিন্তু সিএনএন-এর বিশ্লেষণ বলছে ভিন্ন কথা।
তাদের হাতে আসা তথ্য অনুযায়ী, আইসিই যাদের আটক করেছে, তাদের অধিকাংশই সামান্য অপরাধ অথবা ট্রাফিক আইন ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত।
এদের মধ্যে ৭৫ শতাংশের বেশি মানুষের কোনো গুরুতর অপরাধের রেকর্ড নেই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অভিবাসীদের সম্পর্কে এমন ভুল ধারণা দেওয়াটা খুবই উদ্বেগের বিষয়।
‘আমেরিকানস ফর ইমিগ্রান্ট জাস্টিস’-এর নির্বাহী পরিচালক সুই চুং এক সাক্ষাৎকারে জানান, “বর্তমানে, অভিবাসীদের সমাজের জন্য বিপদ, বোঝা এবং অপরাধী হিসেবে চিত্রিত করা হচ্ছে।
অথচ এই দেশ (যুক্তরাষ্ট্র) গঠিত হয়েছে অভিবাসনকে কেন্দ্র করে।”
ট্রাম্প প্রশাসন বিভিন্ন শহরে আইসিই-এর অভিযান জোরদার করেছে।
বিশেষ করে ডেমোক্রেটিক পার্টি-নিয়ন্ত্রিত শহরগুলোতে এই অভিযান চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এমনকি লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড ও ইউএস মেরিন মোতায়েন করা হয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করছে, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাস করা মানুষের সংখ্যা ‘লক্ষ লক্ষ’।
তবে, সংশ্লিষ্ট মহলের অনেকে মনে করেন, এই ধরনের পদক্ষেপ অভিবাসন বিরোধী মনোভাবকে আরও উস্কে দেবে এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করবে।
তথ্যসূত্র: পিপলস