ট্রাম্পের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত: অভিবাসন প্রশ্নে জনরোষ!

যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতি নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের পদক্ষেপগুলোর বিরুদ্ধে জনমত বাড়ছে। সম্প্রতি সিএনএন-এর করা এক জনমত সমীক্ষায় দেখা গেছে, অভিবাসন সংক্রান্ত বেশ কিছু বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন দেশটির নাগরিকরা।

এই জনমত জরিপে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জোরালো মত প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া, অভিবাসীদের এল সালভাদরের কারাগারে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন অনেকে।

জরিপে অংশ নেওয়া অর্ধেকের বেশি মার্কিন নাগরিক মনে করেন, অভিবাসী বিতাড়ন প্রশ্নে ট্রাম্প সরকার সীমা অতিক্রম করেছে। ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় এই সংখ্যা বেড়েছে। একইসাথে, ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বাড়িয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নেও দ্বিধাবিভক্ত মত দিয়েছেন অনেকে।

বিতাড়ন প্রক্রিয়া যথাযথভাবে আইন মেনে হচ্ছে না বলেও মনে করেন অংশগ্রহণকারীদের একটা বড় অংশ।

আগের মেয়াদের তুলনায়, ট্রাম্পের অভিবাসন বিষয়ক নীতিগুলো এখন দুর্বল অবস্থানে রয়েছে। এমনকি, অর্থনীতি বা অন্য কোনো ইস্যুতেও তার জনপ্রিয়তা এখন নিম্নমুখী।

তবে, সীমান্তে সেনা মোতায়েনের মতো কিছু পদক্ষেপের পক্ষে সমর্থন দেখা গেছে।

জরিপে অংশ নেওয়া রিপাবলিকানদের মধ্যে ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির প্রতি সমর্থন এখনো বেশ জোরালো। তাদের মধ্যে ৯৪ শতাংশই অভিবাসন ইস্যুতে ট্রাম্পের ওপর আস্থা রাখেন এবং ৮৯ শতাংশ মনে করেন, এই নীতি দেশের নিরাপত্তা বাড়িয়েছে।

তবে, স্বতন্ত্র ভোটারদের অর্ধেকের বেশি ট্রাম্পের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না। অন্যদিকে, ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে ট্রাম্পের নীতির বিরোধিতাকারী সংখ্যা বাড়ছে।

একটি বিশেষ বিতাড়ন মামলার উদাহরণ দেওয়া হয় জরিপে। যেখানে ৫৬ শতাংশ আমেরিকান মনে করেন, ভুল করে এল সালভাদরে ফেরত পাঠানো কিলমার অ্যাব্রেগো গার্সিয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনা উচিত। যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী, সরকারের তাকে ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করার কথা।

অভিবাসন বিষয়ক নীতিতে সরকারের অগ্রাধিকার কেমন হওয়া উচিত, এমন প্রশ্নে ভিন্ন চিত্র পাওয়া গেছে। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৭০ শতাংশ মনে করেন, অবৈধভাবে বসবাসকারী অভিবাসীদের বিতাড়ন না করে তাদের আইনিভাবে বসবাসের সুযোগ দেওয়া উচিত।

সিএনএন-এর এই জরিপটি গত ১৭ থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১,৬৭৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ওপর পরিচালনা করা হয়। অনলাইন এবং টেলিফোনের মাধ্যমে তাদের মতামত নেওয়া হয়।

এই জরিপের ত্রুটির পরিমাণ প্রায় ২.৯ শতাংশ।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *