যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন আফ্রিকার ক্ষুদ্র রাষ্ট্র লেসোথোর ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এই সিদ্ধান্তটি লেসোথোর অর্থনীতিতে মারাত্মক আঘাত হানতে পারে, কারণ দেশটির অর্থনীতির প্রধান ভিত্তি হলো রপ্তানি।
দুই মিলিয়ন মানুষের দেশ লেসোথোর মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (জিডিপি) মাত্র ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
লেসোথো মূলত বস্ত্র ও হীরার ব্যবসার ওপর নির্ভরশীল। তারা প্রধানত এই পণ্যগুলো যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করে থাকে। গত বছর, লেসোথো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ২৩৭ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা দেশটির জিডিপির ১০ শতাংশের বেশি।
কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন শুল্কনীতির কারণে এই রপ্তানি বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে এই শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে আফ্রিকান গ্রোথ অ্যান্ড অপরচুনিটি অ্যাক্ট (এজিওএ)-এর সমাপ্তি ঘটবে।
এজিওএ চুক্তিটি আফ্রিকার দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুযোগ দিত, যা তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করত।
লেসোথোর অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, এই শুল্ক তাদের বস্ত্র ও পোশাক শিল্পের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে। কারণ, এই শিল্পটি দেশটির অন্যতম বৃহৎ বেসরকারি কর্মসংস্থান সরবরাহকারী।
কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলে এর গুরুতর প্রভাব পড়বে এবং লেসোথোর অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়বে।
লেসোথোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা এই শুল্কের প্রভাব অনুভব করছে। দেশটির স্বাস্থ্যখাত মূলত বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল ছিল, যা বর্তমানে কমে গেছে।
এছাড়া, লেসোথো সরকার জানিয়েছে, তারা মনে করে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর তারা ৯৯ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে।
যদিও বাংলাদেশের অর্থনীতি লেসোথোর থেকে ভিন্ন, তবে উন্নয়নশীল দেশগুলোর উপর এ ধরনের বাণিজ্য নীতির প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা