শিরোনাম: ট্রাম্পের আমলে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা: সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা?
যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়ে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং মন্তব্যের মাধ্যমে সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
তাঁদের মতে, ট্রাম্পের এই ধরনের কার্যকলাপ গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের প্রতি এক প্রকার চ্যালেঞ্জ।
সংবাদ সংস্থা সিএনএন-এর একটি বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ট্রাম্প প্রায়ই সংবাদ মাধ্যমকে আক্রমণ করেছেন। তিনি তাঁর বিরুদ্ধে আসা খবরগুলোকে মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছেন।
এমনকি, কিছু সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধে তিনি ব্যক্তিগতভাবে মামলাও করেছেন। এই ধরনের পদক্ষেপের ফলে সাংবাদিকদের মধ্যে একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে, যা তাঁদের অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের সময়ে সাংবাদিকদের ওপর নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। বিচার বিভাগ সাংবাদিকদের তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার নিয়ম শিথিল করেছে, যা অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য তথ্য সংগ্রহ করা কঠিন করে তুলবে।
এর ফলে, সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের ওপর নজর রাখা এবং জনগণের কাছে সত্য খবর পৌঁছে দেওয়া আরও কঠিন হয়ে পড়বে।
সংবাদ মাধ্যম এবং সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, যেমন – কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) এবং রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপগুলোর তীব্র সমালোচনা করেছে। তাঁদের মতে, এই ধরনের কার্যকলাপ যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটি গণতান্ত্রিক দেশে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার পরিপন্থী।
সিপিজে-র মতে, সাংবাদিকদের ওপর এই ধরনের চাপ সৃষ্টি করা হলে, তা কেবল তাঁদের কণ্ঠরোধ করবে না, বরং এর মাধ্যমে জনসাধারণের জানার অধিকারও খর্ব হবে। তাঁদের আশঙ্কা, এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে, সত্য ঘটনা প্রকাশ করা কঠিন হয়ে পড়বে এবং সরকার আরও বেশি স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা একটি সুস্থ গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য। সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে না দিলে, জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছানো সম্ভব নয়।
তাই, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য সকলকেই সোচ্চার হতে হবে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন