মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালিয়েছে। শনিবার, ২১শে জুন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক সামাজিক মাধ্যমে এই হামলার কথা ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, ফোরডো, নাটাঞ্জ এবং ইস্ফাহান – এই তিনটি স্থানে সফলভাবে আক্রমণ চালানো হয়েছে। ট্রাম্প আরও উল্লেখ করেন যে, বিমানের বহর ইতিমধ্যে ইরানের আকাশসীমা ত্যাগ করেছে এবং সমস্ত বিমান নিরাপদে তাদের ঘাঁটির দিকে ফিরছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই ঘোষণার আগে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর কথা জানান। তিনি বলেছিলেন, ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা দুর্বল করার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
নেতানিয়াহু’র মতে, ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি, ক্ষেপণাস্ত্র এবং বোমা তৈরির স্থানগুলোতে আঘাত হেনেছে।
বর্তমানে, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। দু’পক্ষই ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আর্ন্তজাতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনার ফলে বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ সৃষ্টি হতে পারে। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখা দেবে।
বাংলাদেশের উপরও এর কিছু প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষ করে জ্বালানি তেলের বাজার এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই ঘোষণার পর বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। এই ঘটনার বিস্তারিত জানতে এবং পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত থাকতে হলে, নিয়মিত সংবাদমাধ্যমের ওপর চোখ রাখতে হবে।
তথ্য সূত্র: পিপলস