আতঙ্ক! অভিবাসীদের তথ্য পাচার করতে চলেছে ট্রাম্প প্রশাসন?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন কর্মকর্তাদের হাতে তথ্য তুলে দেওয়ার জন্য দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজস্ব পরিষেবা (IRS) একটি চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এই চুক্তির ফলে, অভিবাসন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (ICE) সংস্থাটি সম্ভবত কর সংক্রান্ত ডেটা ব্যবহার করতে পারবে, যা ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনকে অভিবাসন নীতি কঠোর করতে সহায়তা করবে।

এই পদক্ষেপ অভিবাসী শ্রমিকদের মধ্যে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।

জানা গেছে, এই চুক্তির অধীনে, আইআরএস-এর কাছে থাকা নথিভুক্ত নয় এমন অভিবাসীদের নাম ও ঠিকানা সরবরাহ করতে পারবে ICE। এমনটা হলে, ট্রাম্প প্রশাসনের ক্ষমতার অপব্যবহার এবং গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হওয়ার আশঙ্কা বাড়বে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের ডেটা শেয়ারিং আগে কখনও হয়নি। সাধারণত এই ধরনের সংবেদনশীল তথ্য গোপন রাখা হয়।

তাই, এই চুক্তির প্রস্তাবনা আইআরএস-এর মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

অন্যদিকে, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভেন্সের স্ত্রী উশা ভেন্স গ্রিনল্যান্ডে একটি সফরে যাচ্ছেন। এই সফর এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প এই স্ব-শাসিত ডেনিশ অঞ্চলটিকে যুক্ত করার বিষয়ে আগ্রহী।

হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়েছে, উশা ভেন্স অন্যান্য মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে গ্রিনল্যান্ডের ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শন করবেন এবং সেখানকার ঐতিহ্য সম্পর্কে জানবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে।

সিনেটে ডেমোক্র্যাট দলের নেতা চাক শুমার রিপাবলিকানদের একটি বিলকে সমর্থন করার কারণে দলের মধ্যে সমালোচিত হচ্ছেন।

বার্নি স্যান্ডার্স এবং অ্যালেক্সান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্তেজ সহ বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদ শ্রমিক শ্রেণির অধিকারের পক্ষে কথা বলছেন এবং দেশের নীতি নির্ধারণে বিলিয়নেয়ারদের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

এছাড়া, ট্রাম্প প্রশাসনের আদালত অবমাননার বিষয়টিও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের এমন পদক্ষেপ আইনের শাসনের প্রতি চ্যালেঞ্জস্বরূপ।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *