যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি বিতর্কিত পরিকল্পনাকে অনুমোদন দিয়েছেন একজন ফেডারেল বিচারক। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বিভাগ (আইআরএস)-এর তথ্য ব্যবহার করে কাগজপত্রবিহীন অভিবাসীদের শনাক্ত করতে পারবে দেশটির অভিবাসন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)।
ফেডারেল বিচারক ড্যাবনি ফ্রিডরিখ সোমবার এই বিষয়ে কয়েকটি অভিবাসী অধিকার সংগঠনের করা আপিল খারিজ করে দেন। আদালতে আবেদনকারীরা যুক্তি দিয়েছিলো, আইআরএস এবং আইসিই-এর মধ্যে এই ডেটা শেয়ারিং চুক্তি করদাতাদের গোপনীয়তা আইনের লঙ্ঘন।
তবে বিচারক তাদের সেই যুক্তি গ্রহণ করেননি। এই সিদ্ধান্তের ফলে ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন বিষয়ক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথ সুগম হলো। ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দাবি, আইআরএস ও আইসিই-এর মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতার ফলে অবৈধভাবে আসা, সম্ভাব্য বিপজ্জনক অভিবাসীদের দেশ থেকে বের করে দেওয়া সম্ভব হবে এবং এর মাধ্যমে আমেরিকান নাগরিকদের সুরক্ষা বাড়বে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে অভিবাসন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘদিন ধরে চলা বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। আইআরএস সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ট্যাক্স সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে। অন্যদিকে, আইসিই-এর কাজ হলো অভিবাসন আইন কার্যকর করা এবং অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
এই দুটি সংস্থার মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানের ফলে, আইসিই এখন ট্যাক্স বিষয়ক তথ্য ব্যবহার করে কাগজপত্রবিহীন অভিবাসীদের খুঁজে বের করতে পারবে। আবেদনকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এই ধরনের ডেটা শেয়ারিংয়ের ফলে করদাতাদের ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা মারাত্মকভাবে লঙ্ঘিত হবে।
এছাড়াও, এর মাধ্যমে অভিবাসীদের মধ্যে ভীতি তৈরি হবে এবং তারা কর প্রদানে নিরুৎসাহিত হতে পারে। এই উদ্বেগের পরেও বিচারক ফ্রিডরিখ ডেটা শেয়ারিংয়ের পক্ষে রায় দিয়েছেন। এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে, অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষায় সরকারের ভূমিকা কতটা হওয়া উচিত।
এছাড়াও, অভিবাসন বিষয়ক নীতিগুলোতে তথ্যের ব্যবহারের নৈতিক দিক নিয়েও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ভবিষ্যতে এই বিষয়ে আরও অনেক আলোচনা ও বিতর্কের সম্ভাবনা রয়েছে। তথ্য সূত্র: সিএনএন