বিদেশি উপহার: ট্রাম্পের জেট নিয়ে বিতর্কের ঝড়!

শিরোনাম: ট্রাম্পের ব্যবসা: কাতার থেকে উপহার ও মধ্যপ্রাচ্যে আগ্রহ নিয়ে বিতর্ক

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যবসায়িক কার্যক্রম এবং বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে, কাতার থেকে একটি বিশেষ বিমান উপহার পাওয়ার সম্ভাবনা এবং মধ্যপ্রাচ্যে তাঁর পরিবারের ব্যবসা সম্প্রসারণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট পদে থাকার সময় বিদেশি রাষ্ট্র থেকে কোনো উপহার নেওয়া কতটা বৈধ, তা নিয়ে নতুন করে ভাবার অবকাশ রয়েছে।

জানা গেছে, কাতার সরকার ট্রাম্পের জন্য একটি বিশেষ বিমান, যা সাধারণত ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’ নামে পরিচিত, সেটি উপহার হিসেবে দিতে চেয়েছিল। যদিও বিমানটি সরকারি ব্যবহারের জন্য দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু এই প্রস্তাবের পরেই বিতর্ক শুরু হয়।

কারণ, ট্রাম্পের পরিবারের ব্যবসায়িক কার্যক্রম এরই মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে বিস্তৃত হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিবিদদের মধ্যে এই বিষয়ে ভিন্নমত দেখা যাচ্ছে। রিপাবলিকান দলের অনেক সদস্য কাতারের এই প্রস্তাব সমর্থন করতে নারাজ।

মিসৌরির সিনেটর জশ হাওলি সিএনএন-এর একটি অনুষ্ঠানে বলেন, “আমার মনে হয় আমাদের একটি সুন্দর বিমান থাকা উচিত, তবে সেটি আমেরিকার তৈরি হওয়া উচিত।”

তবে, কাতার সরকারের সাবেক আইনজীবী এবং বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি এই উপহারের সম্ভাবনাকে সমর্থন করেছেন বলে জানা গেছে। যদিও এই বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

অন্যদিকে, ট্রাম্পের ব্যবসায়িক কার্যক্রমের সঙ্গে সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) মতো দেশগুলোর নামও জড়িয়েছে। ট্রাম্পের ছেলে এরিক ট্রাম্পের নেতৃত্বে তাঁর পরিবার এখন সৌদি আরব, ইউএই এবং কাতারে বিভিন্ন উন্নয়ন ও গলফ কোর্সের পরিকল্পনা করছেন।

এছাড়াও, ট্রাম্পের সঙ্গে যুক্ত একটি কোম্পানি ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এবং এই খাতে একটি ২ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ এসেছে।

এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, সমালোচকরা বলছেন, ট্রাম্প তাঁর ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন এবং বিদেশি রাষ্ট্রগুলো থেকে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছেন।

ডেমোক্রেটিক সিনেটর ক্রিস মারফির মতে, ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে ‘সম্মান’ আদায়ের জন্য সেখানে গিয়েছিলেন।

তবে, হোয়াইট হাউস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, ট্রাম্প নিজের সুবিধার জন্য কিছু করছেন—এমন ধারণা “হাস্যকর।”

অন্যদিকে, ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইলন মাস্কও এই সফরে তাঁর ব্যক্তিগত ব্যবসা এবং সরকারি কার্যক্রমকে একীভূত করেছেন।

মাস্কের কোম্পানি স্পেসএক্সের ইন্টারনেট পরিষেবা ‘স্টারলিঙ্ক’-এর অনুমোদন পাওয়ার জন্য তিনি সৌদি সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

যুক্তরাষ্ট্রে আইনপ্রণেতাদের স্টক কেনাবেচা নিয়ে নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপের চেষ্টা চলছে। এই সংক্রান্ত একটি বিল (পেলোসি অ্যাক্ট) তৈরি করা হয়েছে, যা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের শেয়ার কেনাবেচা সীমিত করার কথা বলছে।

তবে, এই বিল ট্রাম্পের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।

তথ্যসূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *