ট্রাম্পের মেগাবিলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ, বিস্ফোরক তথ্য!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি পাস হওয়া একটি নীতি বিল নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর এক জরিপে দেখা গেছে, দেশটির প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ এই বিলের বিপক্ষে মত দিয়েছেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর এই বিলটিকে তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আইনগত সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

জরিপে আরও উঠে এসেছে, বাজেট ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ট্রাম্পের প্রতি জনগণের আস্থা কমেছে। মার্চ মাস থেকে তার এই সংক্রান্ত অনুমোদন ১১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

একইসঙ্গে, সরকারি কর্মসূচিগুলো কাটছাঁট করার ক্ষেত্রেও তিনি সীমা অতিক্রম করেছেন বলে মনে করছেন অনেকে। বিলটি নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া তীব্র হলেও, এখনো অনেকের মধ্যে দ্বিধা রয়েছে।

জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশের কম লোক বিলটি সম্পর্কে খুব ভালোভাবে অবগত আছেন।

বিলটির সামগ্রিক বিরোধিতা ৬১ শতাংশ। অন্যদিকে, ট্যাক্স ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ট্রাম্পের অনুমোদন কিছুটা বেড়েছে, যা তার প্রথম মেয়াদের কাছাকাছি।

তবে, এই বিল অর্থনীতিকে সাহায্য করবে নাকি ক্ষতিগ্রস্ত করবে, এ বিষয়েও দ্বিধা রয়েছে। ৫১ শতাংশ মানুষ মনে করেন, বিলটি অর্থনীতির ক্ষতি করবে, যেখানে ২৯ শতাংশের ধারণা এটি সহায়তা করবে।

পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করেন ৩৭ শতাংশ, আর ভালো হবে বলে মনে করেন মাত্র ১৬ শতাংশ।

বিলটির কিছু প্রস্তাবের প্রতি অবশ্য জনগণের সমর্থন রয়েছে। যেমন, ট্যাক্স আইনের পরিবর্তন, যা ট্যাক্স কর্তন অব্যাহত রাখতে সাহায্য করবে।

এছাড়া, প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি এবং সীমান্ত নিরাপত্তা ও অভিবাসন বিষয়ক ব্যয় বাড়ানোর মতো বিষয়গুলোতেও অনেকে সমর্থন জানিয়েছেন।

তবে, বিলটি ফেডারেল ঘাটতি বাড়াবে বলে অনেকে এর বিরোধিতা করছেন। পরিষ্কার জ্বালানির ব্যবহার নিরুৎসাহিত করে তেল ও গ্যাসের ব্যবহারকে উৎসাহিত করার বিষয়টিকেও অনেকে সমর্থন করছেন না।

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এই বিল নিয়ে বিভেদ স্পষ্ট। ডেমোক্রেটদের মধ্যে বিলটির বিরোধিতা অনেক বেশি জোরালো, যেখানে রিপাবলিকানদের মধ্যে সমর্থন তুলনামূলকভাবে কম।

ডেমোক্রেটদের ৯৩ শতাংশই বিলটির বিরোধী, যেখানে রিপাবলিকানদের মধ্যে সমর্থন ৭৮ শতাংশ। তবে, রিপাবলিকানদের মধ্যেও অনেকে মনে করেন, বিলটি অর্থনীতির তেমন কোনো উন্নতি ঘটাবে না।

জরিপে অংশগ্রহণকারীদের প্রধান উদ্বেগের বিষয় ছিল দেশের অর্থনীতি, মূল্যস্ফীতি এবং জীবনযাত্রার ব্যয়। এছাড়া, অভিবাসন বিষয়ক বিষয়গুলিও অনেকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

জরিপটি পরিচালনা করা হয় ১০ থেকে ১৩ জুলাই এর মধ্যে, যেখানে ১,০৫৭ জন প্রাপ্তবয়স্ক মার্কিন নাগরিকের মতামত নেওয়া হয়।

এই জরিপের ত্রুটির মার্জিন ছিল প্রায় ৩.৫ শতাংশ।

তথ্যসূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *