যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তাঁর স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প সম্প্রতি ভ্যাটিকান সিটিতে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেন। খবরটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে বিশেষভাবে আলোচিত হয়েছে।
গত ২৬শে এপ্রিল, শনিবার, এই শোকানুষ্ঠানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি ও রাষ্ট্রনায়কেরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ব্রিটিশ রাজ পরিবারের প্রতিনিধি প্রিন্স উইলিয়াম, বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ ও রানি ম্যাটিল্ডা, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন, স্পেনের রাজা ফেলিপে ও রানি লেটিজিয়া এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
মেলানিয়া ট্রাম্প, যিনি এই অনুষ্ঠানে তাঁর জন্মদিনের দিনে উপস্থিত ছিলেন, শোকের প্রতীক হিসেবে কালো পোশাক পরেছিলেন এবং মাথায় কালো ঘোমটা ব্যবহার করেছিলেন। সূত্র মারফত জানা যায়, এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়াকে তিনি “সম্মান” হিসেবে বিবেচনা করেছেন। পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, এই শোকানুষ্ঠানে আসাটা তাঁর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
পোপ ফ্রান্সিস গত ২১শে এপ্রিল প্রয়াত হন। তাঁর প্রয়াণের কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে.ডি. ভ্যান্সের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। পোপ এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যেকার সম্পর্ক বিভিন্ন সময়ে অভিবাসন নীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে মতবিরোধের কারণে আলোচনায় ছিল।
পোপের মৃত্যুর পর, ডোনাল্ড ট্রাম্প শোক প্রকাশ করে বলেছিলেন, “পোপ ফ্রান্সিস একজন ভালো মানুষ ছিলেন যিনি কঠোর পরিশ্রম করেছেন এবং বিশ্বকে ভালোবাসতেন।” তিনি আরও জানান, এই শোকের সম্মানে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। ট্রাম্প তাঁর শোকবার্তা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশাল’-এও প্রকাশ করেন।
পোপ ফ্রান্সিস, যিনি জর্জ মারিও বের্গোগলিও নামে আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেসে ১৯৩৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন, ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির সমালোচনা করেছিলেন। এর প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প তাঁকে “খুব রাজনৈতিক ব্যক্তি” হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। যদিও ২০১৭ সালে ভ্যাটিকান সিটিতে পোপের সঙ্গে সাক্ষাতকে ট্রাম্প “জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্মান” হিসেবে অভিহিত করেছিলেন।
তথ্য সূত্র: পিপল