শোকের দিনে বিতর্ক! ট্রাম্পের আক্রমণ, ক্ষোভে ফেটে পড়ল নেটদুনিয়া!

ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি এক সময়ের মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, মেমোরিয়াল ডে উপলক্ষে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, বিচারক এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন।

সাধারণত, মেমোরিয়াল ডে-তে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী সেনাদের প্রতি সম্মান জানানো হয়। এই দিনে ট্রাম্পের এমন আক্রমণাত্মক মন্তব্য বেশ বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

সোমবার, ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ একটি পোস্টে তার রাজনৈতিক বিরোধীদের ‘scum’ বা ‘জঞ্জাল’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বিচারকদের ‘যুক্তরাষ্ট্র-বিদ্বেষী’ এবং ‘দানব’ বলেও মন্তব্য করেন।

সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে তিনি ‘অযোগ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। ট্রাম্পের এই পোস্টটি স্থানীয় সময় সকাল ৭টার কিছু আগে প্রকাশিত হয়েছিল।

ট্রাম্প তার পোস্টে লেখেন, “শুভ মেমোরিয়াল ডে, তাদের সহ, যারা গত চার বছর ধরে বামপন্থী মানসিকতা দিয়ে আমাদের দেশকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে।” তিনি বাইডেন প্রশাসনের আমলে অবৈধ অভিবাসন বেড়েছে বলেও অভিযোগ করেন।

যদিও যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস ও সীমান্ত সুরক্ষা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ট্রাম্পের এই দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি।

ট্রাম্পের অভিযোগ, বাইডেনের ‘অযোগ্যতার’ কারণেই অভিবাসীর সংখ্যা বেড়েছে। তিনি আরও বলেন, “বিচারকরা এমন সব অপরাধীকে রক্ষা করছেন, যারা দেশে এসে খুন, মাদক ব্যবসা, ধর্ষণ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত।”

যুক্তরাষ্ট্রে মেমোরিয়াল ডে হলো একটি শোকের দিন, যা সশস্ত্র বাহিনীতে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিহত হওয়া সেনাদের স্মরণে পালন করা হয়।

তাই এই দিনে ‘শুভ মেমোরিয়াল ডে’ বলার রীতি নেই।

অন্যদিকে, এই ঘটনার কয়েক দিন আগে, ট্রাম্প ওয়েস্ট পয়েন্টে অবস্থিত মার্কিন সামরিক একাডেমিতে একটি সমাবর্তন ভাষণে বক্তব্য রাখেন।

সেখানে তিনি তার আগের নির্বাচনের বিজয় তুলে ধরেন এবং সামরিক বাহিনীর ‘সুবর্ণ যুগ’-এর কথা উল্লেখ করেন।

তিনি সামরিক বাহিনীতে বৈচিত্র্য আনা এবং তার পূর্বসূরিদের কিছু নীতির সমালোচনা করেন। ট্রাম্পের মতে, মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর কাজ হলো— ‘ড্র্যাগ শো’ আয়োজন করা বা অস্ত্রের মাধ্যমে সারা বিশ্বে গণতন্ত্র ছড়ানো নয়, বরং যেকোনো স্থানে আমেরিকার বিরুদ্ধে আসা হুমকিকে ধ্বংস করা।

ঐ ভাষণে ট্রাম্প ‘ট্রফি ওয়াইফ’-দের (যারা স্বামীর সাফল্যের প্রতীক হিসেবে পরিচিত) বিয়ে করা নিয়েও একটি পরামর্শ দেন, যা অনেকের কাছে অপ্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে।

অতীতেও, ট্রাম্প বিভিন্ন সময়ে এমন কিছু মন্তব্য করেছেন, যা বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।

২০১৮ সালে, তিনি টুইটারে ‘শুভ মেমোরিয়াল ডে!’ লিখে তার নিজের কিছু নীতির সাফল্যের কথা তুলে ধরেছিলেন, যা নিহত সেনাদের আত্মত্যাগের প্রতি যথাযথ সম্মান ছিল না বলে অনেকে মনে করেন।

তথ্যসূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *