ট্রাম্প কি পারবেন? এল সালভাদরে ফেরত পাঠানো অভিবাসীদের নিয়ে বিচারকের প্রশ্ন!

যুক্তরাষ্ট্রের একজন ফেডারেল বিচারক, ডোনাল্ড ট্রাম্পের এল সালভাদরে ফেরত পাঠানো অভিবাসীদের বিষয়ে ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বিচারক জেমস বোয়াসবার্গ বুধবার সন্ধ্যায় শুনানিতে ট্রাম্পের এমন দাবির সত্যতা যাচাই করতে চাইছেন যেখানে তিনি বলেছিলেন, চাইলে তিনি তাদের ফিরিয়ে আনতে পারেন।

এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হলো, যুক্তরাষ্ট্র সরকার আসলে ওই অভিবাসীদের নিয়ন্ত্রণ করছে কিনা, যদিও তাদের এল সালভাদরের একটি কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

আদালতে বিচারক বোয়াসবার্গ, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ‘এলিয়েন এনিমিজ অ্যাক্ট’-এর (শত্রু alien দের প্রতি আচরণ বিষয়ক আইন) ব্যবহারের প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি বিশেষভাবে কিলমার অ্যাব্রেগো গার্সিয়া নামের এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করেন, যাকে ভুলভাবে অন্য একটি আইনের অধীনে এল সালভাদরে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।

গার্সিয়ার বিষয়টি বর্তমানে অন্য একজন বিচারকের বিচারাধীন। অভিবাসীদের আইনজীবীরা তাদের যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত পাঠানোর আবেদন করেছেন, যাতে তারা ট্রাম্পের এই বিতর্কিত পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আদালতে লড়তে পারেন।

শুনানিতে বিচারক বোয়াসবার্গ মার্কিন বিচার বিভাগকে (ডিওজে) সরাসরি প্রশ্ন করেন, “গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্প) কি বলেছিলেন, তিনি এল সালভাদরকে ফোন করে অ্যাব্রেগো গার্সিয়াকে মুক্তি দিতে বলতে পারেন? তাহলে কি প্রেসিডেন্ট সত্যি বলছেন?”

ডিওজে-র আইনজীবী অভিষেক কাম্বলি সরাসরি এর উত্তর দেননি। তিনি জানান, ট্রাম্পের মন্তব্য “তাঁর প্রভাব বিস্তারের ধারণার” প্রতিফলন। কাম্বলি আরও যুক্তি দেখান, এল সালভাদরের নিয়ন্ত্রণ অস্বীকার করা যায় না।

বিচারক বোয়াসবার্গ এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দেখতে চান, যুক্তরাষ্ট্র এখনো ওই অভিবাসীদের কোনো “গঠনমূলক হেফাজতে” (constructive custody – পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণ) আছে কিনা। বুধবারের শুনানিতে তিনি জানান, “আমার মনে হয়, বাদীপক্ষ তাদের যুক্তির পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ তৈরি করতে পেরেছে।” তবে তিনি এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আরও তথ্য জানতে চান।

বিচারক বোয়াসবার্গ ট্রাম্প প্রশাসনকে শুক্রবারের মধ্যে এমন কোনো নথি বা বিবৃতি জমা দিতে বলেছেন, যা প্রমাণ করবে যে যুক্তরাষ্ট্রের ওই অভিবাসীদের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এরপর অভিবাসীদের আইনজীবীরা অতিরিক্ত তথ্য-প্রমাণ চেয়ে আবেদন করতে পারবেন, তবে বিচারক এই অনুসন্ধান সীমিত রাখার কথা বলেছেন।

বৃহস্পতিবার তিনি এই মামলার পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত নির্দেশিকা দেবেন বলে জানিয়েছেন।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *