ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে স্বস্তি? বেতন নিশ্চিত হলেও সেনাবাহিনীর পরিবারে উদ্বেগ!

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে দেশটির সামরিক বাহিনীর সদস্যদের পরিবারগুলোতে দেখা দিয়েছে আর্থিক অনিশ্চয়তা। এর ফলে অনেক পরিবারে খাবার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সংকট তৈরি হয়েছে।

সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেনাবাহিনীর সদস্যদের বেতন চালিয়ে যাওয়ার জন্য অর্থ খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন, কিন্তু এর পরেও সংকট কাটেনি।

ভার্জিনিয়ার হ্যাম্পটন রোডস অঞ্চলে, যেখানে নৌঘাঁটি নরফোক অবস্থিত, সেখানকার পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। এই অঞ্চলের অর্থনীতি মূলত সরকারি কর্মচারী, সামরিক সদস্য এবং তাদের সাথে জড়িত ব্যবসায়ীদের উপর নির্ভরশীল।

সরকারি কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখানকার প্রায় ৮৫,০০০ সামরিক সদস্য, ৫৮,০০০ বেসামরিক কর্মচারী এবং অসংখ্য ঠিকাদার এখন আর্থিক উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন।

স্থানীয় খাদ্য ব্যাংকগুলোতে এখন সামরিক পরিবারগুলোর লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে। বাশটি বেইলি নামের এক নৌ-সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী জানান, তিনি এবং তার পরিবার এরই মধ্যে খরচ কমাচ্ছেন।

তিনি বলেন, “আমরা জানি না, কবে বেতন পাব। তাই এখন থেকেই বিভিন্ন খরচ কমিয়ে চলতে হচ্ছে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, এই অচলাবস্থা দীর্ঘায়িত হলে হ্যাম্পটন রোডস অঞ্চলের প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০ হাজার ৮০০ কোটি টাকা) ক্ষতি হতে পারে।

স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টের মালিক রিচার্ড মাগুয়েজ জানান, তার দোকানে আসা সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সংখ্যা কমে গেছে, কারণ তাদের হাতে এখন আগের মতো অর্থ নেই।

মারিসেন কোরালেস নামের আরেক ব্যবসায়ী জানান, তিনি তার নিয়মিত গ্রাহকদের কথা ভেবে চিন্তিত, কারণ তারা এই কঠিন সময়ে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এর আগে সেনাদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, “তোমাদের একটি পয়সাও কম পেতে হবে না।” কিন্তু বাস্তবে, অনেক পরিবার এখনও তাদের বেতন পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে।

ক্যাডি ফ্র্যাজিয়ার নামের এক নারী জানান, “আমরা প্রতি দুই সপ্তাহ পর বেতন পাই। কিন্তু এখন যদি সময় মতো বেতন না পাওয়া যায়, তাহলে আমাদের জন্য পরিস্থিতি খুবই কঠিন হয়ে পড়বে।”

আগের একটি সরকারি অচলাবস্থার কথা স্মরণ করে বাশটি বেইলি বলেন, “তখনকার পরিস্থিতি খুবই চাপযুক্ত ছিল। আমি চাই না, এবারও তেমন কিছু হোক।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *