গাজায় যুদ্ধ বন্ধের চাপ যখন বাড়ছে, ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন নেতানিয়াহু।
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য যখন আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে, সেই পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এমন একটা সময়ে, যখন ইসরায়েল আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একঘরে হয়ে পড়ছে এবং দেশটির রাজনৈতিক জোটও বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সোমবার ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই বৈঠকটি উভয় নেতার জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে।
কারণ, বিগত কয়েক মাস ধরে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসন কিছুটা ভিন্ন সুর শোনাতে শুরু করেছে।
এমন পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের সঙ্গে নেতানিয়াহুর আলোচনা অনেক দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ট্রাম্প হয়তো নেতানিয়াহুকে যুদ্ধ বন্ধের জন্য চাপ দিতে পারেন।
এমনকি তিনি ইসরায়েলকে এই বিষয়ে একটি চূড়ান্ত প্রস্তাব দেওয়ার জন্য বলতে পারেন।
এমন পরিস্থিতিতে নেতানিয়াহু হয়তো এই প্রস্তাবের শর্ত হিসেবে হামাসকে দুর্বল করা এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহারসহ কিছু বিষয় যুক্ত করতে চাইবেন।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা যায়, ট্রাম্পের পক্ষ থেকে গাজায় যুদ্ধ বন্ধের একটি প্রস্তাব আসতে পারে।
এই প্রস্তাবে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সকল জিম্মিকে মুক্তি এবং ধীরে ধীরে গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের কথা বলা হয়েছে।
তবে এই প্রস্তাবের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এতে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের বিতাড়িত করার কোনো কথা উল্লেখ করা হয়নি।
অন্যদিকে, হামাস এই প্রস্তাবের বিষয়ে তাদের আপত্তির কথা জানিয়েছে।
হামাস চায়, গাজায় যুদ্ধ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে এবং ইসরায়েলকে গাজা থেকে তাদের সকল সৈন্য প্রত্যাহার করতে হবে।
গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে ইতিমধ্যেই তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিভিন্ন দেশ ইসরায়েলের মানবিক সহায়তা বিতরণে বাধা দেওয়ারও সমালোচনা করেছে।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, গাজায় ইসরায়েলের এই সামরিক অভিযান দীর্ঘস্থায়ী হলে তা ওই অঞ্চলের শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বড় ধরনের বাধা সৃষ্টি করবে।
তথ্য সূত্র: