যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিলিস্তিনের এক নাগরিককে বিতাড়িত করার সিদ্ধান্তের জেরে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। দেশটির অভিবাসন আদালত সম্প্রতি এক রায়ে জানায়, মাহমুদ খলিল নামের ওই ব্যক্তির রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে তাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়া যেতে পারে।
খলিল কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং ফিলিস্তিন বিষয়ক একজন সংগঠক।
আদালতের এই সিদ্ধান্তকে ‘অন্যায় ও উদ্বেগজনক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন খলিলের সমর্থকেরা। আইনজীবীরা বলছেন, খলিলের রাজনৈতিক বিশ্বাসের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতির বিরোধ রয়েছে, এমন অভিযোগে তাকে বিতাড়িত করার এই পদক্ষেপ নজিরবিহীন।
তাদের মতে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সংক্ষিপ্ত স্মারকলিপি, যেখানে খলিলের ‘বিশ্বাস ও সংশ্লিষ্টতা’ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, একজন বৈধ অভিবাসীকে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট প্রমাণ নয়।
এদিকে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে। ট্রাম্প দাবি করেছেন, শুল্ক যুদ্ধের কারণে পরিস্থিতি ‘ভালোভাবেই’ চলছে।
তবে, অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা করছেন, এর ফলে আবারও মন্দা দেখা দিতে পারে। চীনও পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর শুল্কের হার বাড়িয়েছে।
অন্যদিকে, গ্রিনল্যান্ডে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটির প্রধানকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি সম্প্রতি ভাইস প্রেসিডেন্টের আর্কটিক অঞ্চলের নীতি নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন।
এছাড়াও, লস অ্যাঞ্জেলেসের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে অভিবাসন কর্মকর্তাদের প্রবেশ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়ার পর অভিবাসন কর্মকর্তাদের ফিরিয়ে দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে আইনের প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এমন কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে যা মানবাধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান