ভয়ংকর! ট্রাম্পের নির্দেশে ফের চালু হচ্ছে কুখ্যাত আলকাতরাজ!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিতর্কিত আলকাট্রাজ কারাগারটি পুনরায় চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার একটি দ্বীপে অবস্থিত এই কুখ্যাত কারাগারটি ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে।

ট্রাম্পের এই ঘোষণার মূল উদ্দেশ্য হলো, কারাগারটি পুনরায় তৈরি করে সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের “সবচেয়ে নিষ্ঠুর এবং সহিংস অপরাধীদের” বন্দী করা।

সাবেক প্রেসিডেন্টের এই পদক্ষেপ এমন এক সময়ে এসেছে, যখন তার প্রশাসন বিচার বিভাগের সঙ্গে দ্বন্দ্বে লিপ্ত। মূলত, অপরাধী এবং গ্যাং সদস্যদের বিতাড়িত করার জন্য ১৮ শতকের একটি আইন ব্যবহারের কারণে এই বিরোধ দেখা দিয়েছে।

এই আইনে অভিযুক্তদের যথাযথ বিচার প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে অনেকে মনে করছেন, তিনি আইনের শাসনকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করতে চাইছেন।

আলকাট্রাজ কারাগার একসময় যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে সুরক্ষিত কারাগার হিসেবে পরিচিত ছিল। এর কারণ হলো, দ্বীপের অবস্থান, শীতল জল এবং শক্তিশালী স্রোত।

কারাগারটি চালু থাকার সময় কোনো সফল পালানোর ঘটনা রেকর্ড করা হয়নি। যদিও পাঁচজন বন্দী নিখোঁজ হন এবং তাদের ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।

একবার পালানোর চেষ্টাকালে ৩৬ জন বন্দী ধরা পড়েছিলেন।

কারাগারটি তার অবকাঠামোগত দুর্বলতা এবং রক্ষণাবেক্ষণের উচ্চ খরচের কারণে ১৯৬৩ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

কারণ, জ্বালানি থেকে শুরু করে খাদ্য সরবরাহ পর্যন্ত সবকিছু নৌকায় করে নিয়ে যেতে হতো। ফেডারেল ব্যুরো অফ প্রিজনস (বিওপি)-এর তথ্য অনুযায়ী, অন্যান্য ফেডারেল কারাগারের তুলনায় এটি পরিচালনা করতে প্রায় তিনগুণ বেশি খরচ হতো।

বর্তমানে, আলকাট্রাজ দ্বীপ একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র, যা ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিস দ্বারা পরিচালিত হয় এবং এটি একটি জাতীয় ঐতিহাসিক ল্যান্ডমার্ক হিসেবেও স্বীকৃত।

এই কারাগার পুনরায় চালু করার ধারণাটি নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি এবং সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি এই পরিকল্পনার বাস্তবায়নযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, “এটি এখন একটি জনপ্রিয় জাতীয় উদ্যান এবং প্রধান পর্যটন আকর্ষণ। প্রেসিডেন্টের প্রস্তাবটি গুরুতর কিছু নয়।”

তথ্য সূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *