মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি প্রস্তুতকারকদের শুল্কের প্রভাব কমাতে উদ্যোগ নিচ্ছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানা গেছে, তিনি বিদেশি গাড়ির যন্ত্রাংশের ওপর কিছু শুল্ক কমানোর পরিকল্পনা করছেন।
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই পদক্ষেপের ফলে যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ি তৈরি করে, তাদের সুবিধা হবে।
মার্কিন বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুুটনিক এক বিবৃতিতে বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দেশীয় গাড়ি প্রস্তুতকারকদের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারিত্ব তৈরি করছেন।
এই চুক্তিটি প্রেসিডেন্টের বাণিজ্য নীতির একটি বড় জয়।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবর অনুযায়ী, শুল্ক কমানোর ফলে গাড়ি কোম্পানিগুলো বিদেশি যন্ত্রাংশের ওপর আরোপিত শুল্কের একটি অংশ ফেরত পেতে পারে।
তবে, এই সুবিধা পেতে হলে তাদের যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে গাড়ি উৎপাদন করতে হবে।
এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তৈরি হওয়া গাড়িগুলোর ওপর ট্রাম্পের শুল্ক বহাল থাকবে, তবে অন্যান্য কিছু কর থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হবে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে গাড়ি নির্মাতারা কিছুটা স্বস্তি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কারণ, এর আগে বিভিন্ন গাড়িনির্মাতা সংস্থা শুল্কের কারণে ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল।
তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে জানায়, যন্ত্রাংশের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হলে গাড়ির দাম বাড়বে, বিক্রি কমবে এবং গ্রাহকদের জন্য গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ আরও কঠিন হয়ে পড়বে।
জেনারেল মোটরস (জিএম)-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেরি বাররা এবং ফোর্ডের প্রধান জিম ফার্লি এই পরিবর্তনের প্রশংসা করেছেন।
তারা মনে করেন, প্রেসিডেন্টের এই পদক্ষেপ তাদের মতো কোম্পানিগুলোর জন্য সুবিধা তৈরি করবে এবং তারা যুক্তরাষ্ট্রে আরও বেশি বিনিয়োগ করতে পারবে।
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ বিশ্ব বাণিজ্য এবং বিশেষ করে গাড়িশিল্পের ওপর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
যদিও এই সিদ্ধান্ত সরাসরি বাংলাদেশের ওপর প্রভাব ফেলবে না, তবে বিশ্ব অর্থনীতির পরিবর্তনগুলি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তি এবং সরবরাহ শৃঙ্খলে পরিবর্তন আনতে পারে, যা বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান