মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি তার জনসমর্থন নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন, যা বিভিন্ন জরিপের ফলাফলের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তিনি দাবি করেছেন, তার বর্তমান জনপ্রিয়তা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি, এমনকি অন্যান্য প্রেসিডেন্টের তুলনায়ও ভালো অবস্থানে রয়েছেন তিনি।
তবে, প্রকাশিত তথ্য-উপাত্ত বলছে ভিন্ন কথা।
ট্রাম্পের এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং জরিপ সংস্থাগুলোর তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি জরিপ অনুসারে, ট্রাম্পের ‘নেট অ্যাপ্রুভাল’ বা জনগণের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতা বর্তমানে নেতিবাচক ১১ শতাংশ।
অর্থাৎ, তার পক্ষে মত দেওয়া মানুষের চেয়ে বিপক্ষে মত দেওয়া মানুষের সংখ্যা বেশি। এই চিত্রটি তার দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতে ছিল আরও ইতিবাচক, যেখানে তিনি ৯ শতাংশ ‘নেট অ্যাপ্রুভাল’ পেয়েছিলেন।
সিএনএন-এর পোল অফ পোলস-এর হিসাব অনুযায়ী, ট্রাম্পের ‘নেট অ্যাপ্রুভাল’ ১৫ শতাংশ নেতিবাচক। বিভিন্ন জরিপ বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, তার জনপ্রিয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
নির্বাচনের শুরুতে তার যে সমর্থন ছিল, এখন তা কমে গেছে।
অন্যান্য জরিপ সংস্থা যেমন, ফিফটিপ্লাসওয়ান.নিউজ (FiftyPlusOne.news) -এর জি. এলিয়ট মরিসের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ট্রাম্পের ‘নেট অ্যাপ্রুভাল’ ১৪ শতাংশ নেতিবাচক।
জনপ্রিয় ডেটা জার্নালিস্ট ন্যাট সিলভারের বিশ্লেষণও একই ইঙ্গিত দেয়, যেখানে ট্রাম্পের ‘নেট অ্যাপ্রুভাল’ ১০ শতাংশ নেতিবাচক দেখা যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের রিপাবলিকান সমর্থক গোষ্ঠীর মধ্যে তার জনপ্রিয়তা এখনো অনেক বেশি, প্রায় ৯০ শতাংশের কাছাকাছি।
তবে, তিনি সামগ্রিকভাবে দেশের মানুষের মধ্যে যে জনপ্রিয়তার কথা বলছেন, জরিপের ফল সেটির সঙ্গে মিলছে না।
বিভিন্ন প্রেসিডেন্টের জনপ্রিয়তার সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, ট্রাম্পের বর্তমান জনসমর্থন অনেক কম।
বারাক ওবামা তার প্রথম মেয়াদে ৬৯ শতাংশ সমর্থন পেয়েছিলেন। জর্জ ডব্লিউ বুশ ৯/১১-এর সন্ত্রাসী হামলার পর ৯০ শতাংশ সমর্থন লাভ করেন। এমনকি জো বাইডেনও তার মেয়াদে একবার ৫৭ শতাংশ সমর্থন পেয়েছিলেন।
নিয়মিতভাবে জনমত জরিপ বিশ্লেষণকারী বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্পের বর্তমান জনপ্রিয়তা তার আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে কম।
এমনকি, দ্বিতীয় মেয়াদে থাকা অন্যান্য প্রেসিডেন্টের তুলনায়ও তিনি পিছিয়ে আছেন।
সুতরাং, বিভিন্ন জরিপের ফলাফল থেকে এটা স্পষ্ট যে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা নিয়ে করা দাবিগুলো সঠিক নয়।
তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে, তার জনসমর্থন উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে, যা অন্যান্য অনেক প্রেসিডেন্টের তুলনায় অনেক কম।
তথ্য সূত্র: সিএনএন
 
                         
                         
                         
                         
                         
                         
				
			 
				
			 
				
			 
				
			