মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘পাগল’ বলেও অভিহিত করেছেন।
তবে, ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পরেও, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই ধরনের মন্তব্য নতুন কিছু নয়। অতীতেও তিনি পুতিনের প্রতি অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
কিন্তু, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে তার দ্বিধা দেখা যায়। উদাহরণস্বরূপ, তিনি অতীতে বলেছিলেন যে তিনি পুতিনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রেখেছেন।
বর্তমানে, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসন নিয়ে মার্কিন সিনেটে একটি বিল উত্থাপিত হয়েছে। এই বিলে রাশিয়ার উপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, যারা রাশিয়ার জ্বালানি ক্রয় করে, তাদের উপরও অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের প্রস্তাব রয়েছে। তবে, এই বিলটি বাস্তবায়িত হলে চীন, ভারত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো দেশগুলোর উপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
কারণ, এই দেশগুলো এখনো রাশিয়ার জ্বালানির উপর নির্ভরশীল।
ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্য এবং সিনেটের বিলের প্রেক্ষাপটে, অনেকে মনে করছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে ট্রাম্পের আগ্রহ কমতে শুরু করেছে। এমনকি, তিনি এই সংকট থেকে দূরে থাকারও চিন্তা করতে পারেন।
কারণ, এখন পর্যন্ত তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ নিতে রাজি হননি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই দ্বিধাগ্রস্ত অবস্থান আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। একদিকে যেমন তিনি পুতিনের সমালোচনা করছেন, অন্যদিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতেও কুণ্ঠাবোধ করছেন।
ফলে, ইউক্রেন যুদ্ধ এবং এর ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা আরও বাড়ছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন