ট্রাম্পের ‘উপহার’ বিতর্ক: কাতার বিমানের আসল সত্য!

শিরোনাম: কাতার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান: উপহার নাকি অন্য কিছু?

যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি এবং নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্যের মধ্যে বিস্তর ফারাক দেখা যাচ্ছে। ট্রাম্পের ভাষ্য অনুযায়ী, কাতার সরকার যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি বিশেষ বিমান ‘উপহার’ হিসেবে দিতে চেয়েছিল।

কিন্তু বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, আসল ঘটনা সম্ভবত ভিন্ন।

জানা গেছে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর, ট্রাম্প পুরনো বিমান বহরের বদলে নতুন একটি বোয়িং ৭৪৭ বিমান ব্যবহারের কথা ভাবছিলেন। এর জন্য পেন্টাগন কাতার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী স্টিভ উইটকফকে এই বিষয়ে আলোচনার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর প্রাথমিকভাবে বিমানটি কেনার ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়। কাতারের পক্ষ থেকেও এতে সম্মতি ছিল।

যদিও ট্রাম্প এই বিষয়টিকে কাতারের রাজপরিবারের পক্ষ থেকে পাওয়া ‘উপহার’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এমনকি তিনি সামাজিক মাধ্যমেও এই নিয়ে মন্তব্য করেছেন।

তবে, এই চুক্তির প্রক্রিয়াটি এখনো আইনি জটিলতা এবং নৈতিকতার প্রশ্নে আটকে রয়েছে। চুক্তিটি কিভাবে সম্পন্ন হবে, সে বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

বিমানটির দাম প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হতে পারে, তবে সূত্রের খবর অনুযায়ী এর বর্তমান মূল্য কমেছে।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এই সম্ভাব্য চুক্তিকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি অনুদান’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি জানান, কাতারের রাজপরিবার বিমানটি যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীকে দিতে চেয়েছে এবং এই অনুদানটি সকল আইনি ও নৈতিক বাধ্যবাধকতা মেনেই গ্রহণ করা হবে।

অন্যদিকে, কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান বিন জসিম আল-থানি এই বিষয়ে সরাসরি ট্রাম্পের দাবির সত্যতা নিশ্চিত করেননি। তিনি জানিয়েছেন, এটি দুই দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি সাধারণ আলোচনা।

বিমান হস্তান্তরের বিষয়টি যদি সম্পন্ন হয়, তবে পুরোনো একটি বিমানকে নতুন করে সাজানো একটি জটিল প্রক্রিয়া। কারণ, নিরাপত্তা ও যোগাযোগের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সংযোজন করতে হবে।

এই কাজটি সম্পন্ন করতে প্রায় দুই বছর সময় লাগতে পারে এবং এতে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বোয়িং কোম্পানি জানিয়েছে, নতুন এয়ার ফোর্স ওয়ানের কাজ এখনো শেষ হয়নি। সম্ভবত ২০২৭ সালের মধ্যে এটি সরবরাহ করা হতে পারে।

সব মিলিয়ে কাতার থেকে বিমান পাওয়া নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা রয়েছে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *