জেএফকে হত্যাকাণ্ড: ট্রাম্পের বিস্ফোরক ঘোষণায় তোলপাড়!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির (জেএফকে) ১৯৬৩ সালের হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পর্কিত কয়েক হাজার গোপন নথি প্রকাশ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। গত মঙ্গলবার এই নথিগুলো প্রকাশ করা হয়। খবরটি নিশ্চিত করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।

নভেম্বরের ২২ তারিখে টেক্সাসের ডালাসে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি। এই ঘটনার পর থেকেই তার মৃত্যু নিয়ে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচলিত রয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে নথিগুলো প্রকাশের ঘোষণার পর অনেকেই ধারণা করছেন, এর মাধ্যমে হয়তো নতুন কোনো তথ্য জানা যাবে।

নথিগুলোতে ১৯৬৪ সালে ওয়ারেন কমিশনের একজন গবেষকের নেওয়া একটি সাক্ষাৎকারের বিবরণ রয়েছে। যেখানে সিআইএ-র এক কর্মীর সঙ্গে সোভিয়েত নারী ও মার্কিন পুরুষের মধ্যে বিবাহ বিষয়ক কিছু অসঙ্গতি নিয়ে কথা হয়।

এছাড়াও, ১৯৬২ সালে লি হার্ভে অসওয়াল্ড নামের এক ব্যক্তি সোভিয়েত ইউনিয়ন ত্যাগ করে কেনেডিকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন—এমন তত্ত্বের উল্লেখও রয়েছে নথিগুলোতে।

প্রকাশিত নথিতে ১৯৬০-এর দশকের গোড়ার দিকে ঠান্ডা যুদ্ধের সময়কালের কথা এবং কিউবার নেতা ফিডেল কাস্ত্রোর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে। নথিতে বলা হয়েছে, কাস্ত্রো হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়াতে চাইতেন না, তবে তিনি লাতিন আমেরিকায় কমিউনিস্ট শক্তিকে সমর্থন দিতে পারেন।

ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই এই নথিগুলো প্রকাশের নির্দেশ দেন। এর ফলস্বরূপ, ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) কেনেডি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত কয়েক হাজার নতুন নথি খুঁজে বের করে।

জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক (ডিরেক্টর অফ ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স) টুলসি গাবার্ড এক বিবৃতিতে জানান, ” প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্বচ্ছতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছেন।”

উল্লেখ্য, কেনেডি হত্যাকাণ্ডের পর দুই দিন পরেই ডালাসের নাইটক্লাবের মালিক জ্যাক রুবি’র হাতে নিহত হন অভিযুক্ত লি হার্ভে অসওয়াল্ড। এর আগে ২০১৭ সালে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদেও কিছু নথি প্রকাশ করা হয়েছিল।

তবে বিশ্লেষকদের মতে, নতুন প্রকাশিত নথিতে এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো নতুন তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা কম। ভার্জিনিয়ার সেন্টার ফর পলিটিক্সের পরিচালক ল্যারি সাবাতো এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “যারা বড় ধরনের কিছু আবিষ্কারের প্রত্যাশা করছেন, তারা সম্ভবত হতাশ হবেন।”

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *