মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাজস্ব বিভাগের প্রধানের পদ থেকে বিদায় নিতে হলো বিলি লং-কে, যিনি ছিলেন দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজস্ব পরিষেবা (আইআরএস)-এর কমিশনার।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে তাকে সরিয়ে দেওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শুক্রবার হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে এই খবর জানানো হয়েছে।
তবে বিলি লং-কে কেন সরানো হলো, তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট করা হয়নি। সূত্র বলছে, তাকে আইসল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
বিলি লং নিজেও এক সামাজিক মাধ্যমে ট্রাম্পের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবং নতুন দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন।
বিলি লং-এর এই দ্রুত প্রস্থান আইআরএস-এর ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা। ১৮৬২ সালে এই পদ তৈরি হওয়ার পর এত কম সময়ে কোনো কমিশনারকে সরানো হয়নি।
এর আগে, জুন মাসে সিনেট বিলি লং-কে অনুমোদন দেয়।
বিলি লংয়ের এই বিদায় এমন এক সময়ে এলো, যখন আইআরএস-এর কর্মপরিবেশে অস্থিরতা চলছে।
ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের শুরু থেকেই এই সংস্থায় কর্মীর অভাব দেখা দিয়েছে। সংবাদ সংস্থা এপি সূত্রে জানা গেছে, বিলি লংয়ের আগে, আইআরএস-এর প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন এমন চারজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মেয়াদ শেষ হয়েছে।
আগে, কংগ্রেসম্যান থাকাকালীন বিলি লং আইআরএস বিলুপ্ত করার পক্ষে ছিলেন।
তিনি এমন একটি সংস্থার সঙ্গেও কাজ করেছেন, যারা কোভিড-১৯ মহামারীর সময়কার কর ছাড়ের নামে প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ডেমোক্র্যাটরা তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্তের দাবিও তুলেছিলেন।
বিলি লং-এর এই অপসারণ এমন এক সময়ে হয়েছে যখন সংস্থাটি কর্মী ছাঁটাইয়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।
সরকারের ব্যয় হ্রাস করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে, এই বছর আইআরএস-এর কর্মী সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো হয়েছে।
জানা গেছে, জানুয়ারিতে যেখানে ১ লক্ষ ৩ হাজার কর্মী ছিলেন, সেখানে মে ২০২৫ সাল নাগাদ তা কমে ৭ হাজার ৭ হাজারে দাঁড়াবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘটনা বাংলাদেশের রাজস্ব ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত না হলেও, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এর প্রভাব থাকতে পারে।
এছাড়া, বিভিন্ন দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত দ্বিপাক্ষিক কর চুক্তিগুলিও এক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস