মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে এক কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং আরো কয়েকজন শীর্ষ ডেমোক্রেট ও রাজনৈতিক সমালোচকের নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল করেছেন।
শুক্রবার (গতকালের) এক স্মারকের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিলের তালিকায় রয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন, প্রাক্তন কংগ্রেসম্যান লিজ চেনey, প্রাক্তন কংগ্রেসম্যান অ্যাডাম কিনজিঙ্গার এবং নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিটিয়া জেমস। এই জেমস, যিনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আর্থিক জালিয়াতির মামলা করেছিলেন, তিনিও এই তালিকাভুক্তদের মধ্যে একজন।
এমনকি বাইডেনের পরিবারের সদস্যদেরও এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। সাধারণত, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এবং সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য এই ধরনের গোপনীয় তথ্য ব্যবহারের সুযোগ থাকে।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের ফলে, এখন থেকে তারা কোনো গোপনীয় তথ্যে প্রবেশ করতে পারবেন না।
ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেছেন, “আমি মনে করি, এখন থেকে এই ব্যক্তিদের গোপনীয় তথ্য জানার আর কোনো জাতীয় স্বার্থ নেই।”
এছাড়াও, তিনি নির্বাহী বিভাগের প্রধানদের নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে এই ব্যক্তিদের সরকারি সুরক্ষিত স্থানগুলোতে প্রবেশাধিকারও বাতিল করা হয়।
অন্যদিকে, বাইডেন প্রশাসন ক্ষমতা গ্রহণের পর ট্রাম্পের জন্য একই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিল। ২০২১ সালে, বাইডেন বলেছিলেন, ট্রাম্পের “অস্থিতিশীল আচরণের” কারণে তাকে গোপনীয় নথিপত্র দেখতে দেওয়া উচিত নয়।
এছাড়াও, ট্রাম্প বাইডেনের দুই সন্তান হান্টার ও অ্যাশলির নিরাপত্তা রক্ষীদের সরিয়ে নেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ মূলত তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা। কারণ, এই তালিকায় থাকা ব্যক্তিরা বিভিন্ন সময়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন বা তার নীতির সমালোচনা করেছেন।
এর মধ্যে রয়েছেন, ফিয়োনা হিল, যিনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। এছাড়া, ৬ জানুয়ারির ক্যাপিটল হিলের ঘটনা তদন্ত কমিটির সদস্য লিজ চেনey এবং অ্যাডাম কিনজিঙ্গারও এই তালিকায় রয়েছেন।
এই ঘটনার কয়েক দিন আগে, খবর প্রকাশ হয়েছিল যে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং তার স্ত্রী জিল বাইডেন ডেমোক্রেটিক পার্টিকে পুনর্গঠন করতে এবং তহবিল সংগ্রহে সাহায্য করতে চেয়েছেন।
যদিও এখনো পর্যন্ত এই প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়নি। একটি সাম্প্রতিক জনমত জরিপে দেখা গেছে, ডেমোক্রেটিক পার্টির জনপ্রিয়তা কমে গেছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান