যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংকট নিরসনে ‘একটি প্রকৃত সমাধান’ চেয়েছেন, যা যুদ্ধবিরতির চেয়েও বেশি কিছু। তিনি আলোচনা নিয়ে তার ধৈর্য হারানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন এবং এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য ভূমিকার বিষয়টিও বিবেচনা করছেন।
কানাডায় অনুষ্ঠিত জি-৭ শীর্ষ সম্মেলন সংক্ষিপ্ত করে ফিরে আসার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প এমন মন্তব্য করেন।
ট্রাম্পের এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে, যখন ইসরায়েল ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করা থেকে বিরত রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের আরও জোরালো সমর্থন চাইছে। জানা গেছে, ইসরায়েলের শীর্ষ কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস করতে সামরিক সহায়তা চেয়েছেন।
তবে ট্রাম্পের নিজের দলের ভেতরেই অনেকে এই সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি জড়িত হওয়াটা এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি পাঁচ দিন ধরে চলছে। এমন পরিস্থিতিতে ট্রাম্প তেহরানকে আলোচনার টেবিলে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে ইরানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা সীমিত করা যায়।
একই সঙ্গে তিনি ইরানের নাগরিকদের রাজধানী শহর ত্যাগের জন্য সতর্ক করেছেন। যদিও এর কারণ তিনি সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেননি।
বিমান থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি যুদ্ধবিরতি চাইছি না। আমরা এর চেয়ে ভালো কিছু চাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ইরানের সঙ্গে তার লক্ষ্য হলো ‘একটি প্রকৃত সমাধান, কোনো যুদ্ধবিরতি নয়, অথবা পুরোপুরি আত্মসমর্পণ’।
এর আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, ইরানকে অবশ্যই তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি ত্যাগ করতে হবে। তিনি মঙ্গলবার অভিযোগ করেন, ইরান একটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির খুব কাছাকাছি চলে এসেছে।
যদিও যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলছে, এমনটা হওয়ার সম্ভাবনা এখনো অনেক দূরে।
ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যদি এই অঞ্চলে মার্কিন সেনাদের ওপর কোনো হামলা হয়, তাহলে এর ফল মারাত্মক হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা এমনভাবে জবাব দেব, যার কোনো সীমা থাকবে না।’
হোয়াইট হাউসে ফেরার পর ট্রাম্প ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবি’র একটি বার্তা পান, যেখানে তাকে ঐশ্বরিক হস্তক্ষেপের বিষয়টি বিবেচনা করতে উৎসাহিত করা হয়েছে।
হাকাবি লিখেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আপনি স্বর্গ থেকে একটি বার্তা শুনবেন, এবং সেই কণ্ঠস্বর আমার বা অন্য কারও চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হবে।’
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্পের এই মন্তব্যের মাধ্যমে ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের একটি নতুন দিক উন্মোচিত হয়েছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন