ডোনাল্ড ট্রাম্প, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছেন। তাঁর পরিকল্পনা হল, অন্যান্য উন্নত দেশগুলির তুলনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধের উচ্চ মূল্য কমানো।
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খুব শীঘ্রই এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশনামায় স্বাক্ষর করবেন তিনি।
এই নতুন নীতির মূল লক্ষ্য হল, বিদেশি সরকারগুলি ওষুধের দাম যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করে, সেই সংক্রান্ত ‘অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক’ কার্যকলাপগুলির মোকাবিলা করা।
এই পদক্ষেপ বাণিজ্যিক বাজার, সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা যেমন মেডিক্যায়ার এবং মেডিকেডের আওতাভুক্ত বিভিন্ন ওষুধের দামের ওপর প্রভাব ফেলবে।
এর ফলস্বরূপ আইনি জটিলতা দেখা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
যদি দ্রুত দাম না কমে, সেক্ষেত্রে প্রশাসন দাম কমাতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করবে।
এই বিষয়ে স্বাস্থ্য ও মানব পরিষেবা বিভাগকে (Department of Health and Human Services) সমস্ত বাজারে দাম কমানোর জন্য আলোচনা করতে বলা হয়েছে।
কোনো সমাধান না হলে, বিভাগটি ‘মোস্ট ফেভার্ড নেশন’ (সবচেয়ে সুবিধাপ্রাপ্ত দেশ) -এর মূল্য নির্ধারণ করবে।
অর্থাৎ, যে দেশে ওষুধের দাম সবচেয়ে কম, সেই দামেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধ বিক্রি হবে।
আগেও ট্রাম্প এই ধরনের নীতি নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে তা সফল হয়নি।
যদিও, ২০২০ সালে জো বাইডেন এই নীতি বাতিল করেন।
বাইডেনের আমলে, মেডিক্যায়ার কিছু ওষুধের দামের বিষয়ে দর কষাকষির অধিকার পায়, যা আগে তাদের ছিল না।
ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের ফলে মার্কিন নাগরিকদের ওষুধ কেনা কতটা সহজ হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
তবে ট্রাম্পের দাবি, ওষুধের দাম প্রায় ৩০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে।
তিনি আরও বলেছেন, এই নীতির ফলে বিশ্বে ওষুধের দামের ক্ষেত্রে একটা ভারসাম্য আসবে এবং আমেরিকার মানুষ ন্যায্য মূল্য পাবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, অন্যান্য দেশের তুলনায় ওষুধের দাম অনেক বেশি।
এর প্রধান কারণ হল, অন্যান্য দেশের সরকারগুলি ওষুধের দাম নির্ধারণ করে।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ২০২২ সালে ব্র্যান্ডেড ওষুধ সহ সব ধরনের ওষুধের দাম, উন্নত দেশগুলির তুলনায় প্রায় ২.৭৮ গুণ বেশি ছিল।
ব্র্যান্ডেড ওষুধের ক্ষেত্রে এই পার্থক্য ছিল আরও বেশি – প্রায় ৩.২২ গুণ।
যদিও এই নীতি সরাসরি বাংলাদেশের ওপর প্রভাব ফেলবে না, তবে বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার কারণে, এর কিছু প্রভাব পড়তে পারে।
বিশ্ব বাজারে ওষুধের দামের পরিবর্তন হলে, তা বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের দামের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে।
এমনকী, ঔষধের সহজলভ্যতাও প্রভাবিত হতে পারে।
তথ্য সূত্র: CNN