আতঙ্ক! সুপ্রিম কোর্টে ট্রাম্পের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত, বিতাড়নের পথে?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ২০০ ভেনেজুয়েলার অভিবাসীকে দ্রুত ফেরত পাঠানোর বিষয়ে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি চেয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

টেক্সাসে আটক এইসব অভিবাসীর মধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ‘ট्रेन দে আরুয়া’র সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। খবরটি জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

সোমবার সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করা এক আবেদনে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের আইনজীবী জন সাউয়ার জানান, আটককৃত ১৭৬ জন অভিবাসীর মধ্যে কেউ কেউ ভেনেজুয়েলার একটি কুখ্যাত গ্যাং ‘ট्रेन দে আরুয়া’র সঙ্গে জড়িত।

এই গ্যাংটিকে যুক্তরাষ্ট্র একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। সাউয়ারের মতে, এদের মধ্যে কয়েকজন আটক থাকাকালীন সময়ে কর্মকর্তাদের জন্য বিশেষভাবে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, টেক্সাসের ব্লু্বোনেট ডিটেনশন ফ্যাসিলিটিতে আটক থাকা ২৩ জন অভিবাসী সম্প্রতি কয়েক ঘণ্টা নিজেদের একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন এবং কর্মকর্তাদের জিম্মি ও তাদের ক্ষতি করার হুমকি দিয়েছিলেন।

এই ঘটনার একটি aérial view বা আকাশ থেকে তোলা দৃশ্য সম্প্রতি একটি ড্রোন ক্যামেরায় ধরা পড়েছে।

আটককৃতদের অন্য একটি স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

আবেদনে আরও বলা হয়, এই ধরনের বন্দীদের অন্য স্থানে সরিয়ে নেওয়ার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ‘ট्रेन দে আরুয়া’ গ্যাংয়ের সদস্য নিয়োগ এবং তাদের কার্যক্রম বিস্তারের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।

তাই তাদের দ্রুত দেশ থেকে বিতাড়িত করা উচিত।

আবেদনটি এমন এক সময়ে করা হয়েছে, যখন সুপ্রিম কোর্ট এর আগে এক আদেশে দ্রুত বিতাড়ন প্রক্রিয়া স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছিল।

তবে এর কয়েক সপ্তাহ আগে আদালত জানায়, ‘এলিয়েন এনিমিজ অ্যাক্ট’ ব্যবহার করে বিতাড়ন করা যেতে পারে, তবে বিতাড়িত করার আগে তাদের পর্যাপ্ত নোটিশ দিতে হবে, যাতে তারা ১৮ শতকের এই আইনের অধীনে তাদের বিতাড়ন চ্যালেঞ্জ করতে পারে।

হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, বিতাড়নের জন্য চিহ্নিত ব্যক্তিরা ‘ট्रेन দে আরুয়া’ গ্যাংয়ের সদস্য।

যদিও তাদের গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ হিসেবে অভিবাসীদের শরীরে ট্যাটু অথবা তাদের পোশাকের উদাহরণ দেওয়া হয়েছে।

তবে বিতাড়ন প্রক্রিয়া নিয়ে নিম্ন আদালতগুলোতেও ইতোমধ্যে বাধা দেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের এই বিতাড়ন প্রক্রিয়া আন্তর্জাতিক অভিবাসন নীতি এবং শরণার্থী সংকট সম্পর্কিত বিষয়গুলোকে নতুন করে আলোচনায় এনেছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অভিবাসন নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন নীতি রয়েছে এবং এই ধরনের ঘটনা সেই আলোচনার একটি অংশ।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *