যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন দেশটির সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য হলো, সরকারি নথিপত্র জনগণের কাছে উন্মোচন করার বিষয়ে ‘ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’ (DOGE)-এর ওপর যেন তথ্য অধিকার আইনের (FOIA) প্রয়োগ না হয়, তা নিশ্চিত করা। বুধবার (গতকাল) ট্রাম্প প্রশাসন এই আবেদন জানায়।
সরকারের পক্ষ থেকে যুক্তি দেওয়া হয়েছে যে, DOGE-কে শ্বেত ভবনের একটি উপদেষ্টা সংস্থা হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। তাই, তথ্য জানার অধিকার আইনের আওতায় এনে তাদের কার্যক্রমের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তাঁদের মতে, এই সংস্থাকে যদি তথ্য অধিকার আইনের আওতায় আনা হয়, তাহলে তা ক্ষমতার বিভাজন নীতির পরিপন্থী হবে।
অন্যদিকে, ‘সিটিজেনস ফর রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড এথিক্স ইন ওয়াশিংটন’ (CREW) নামের একটি সংগঠন DOGE-এর নথিপত্র চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করেছে। তাদের দাবি, এই সংস্থাটিকে তথ্য জানার অধিকার আইনের আওতায় আনা উচিত। তাঁদের যুক্তি হলো, এর মাধ্যমে জনগণের কাছে সরকারের স্বচ্ছতা আরও বাড়বে।
আদালতে দেওয়া আবেদনে, যুক্তরাষ্ট্রের সলিসিটর জেনারেল ডি. জন সয়ার (যিনি মার্কিন সরকারের প্রধান আইনজীবী) DOGE-কে ট্রাম্পকে পরামর্শ দেওয়ার জন্য গঠিত একটি ‘রাষ্ট্রপতি বিষয়ক উপদেষ্টা সংস্থা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তাঁর মতে, পরামর্শ দেওয়ার মতো বিষয়গুলোর সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে DOGE-কে FOIA-এর আওতামুক্ত রাখা উচিত।
বিষয়টি নিয়ে নিম্ন আদালত পর্যন্ত জল গড়িয়েছে। নিম্ন আদালত DOGE-কে FOIA-এর অধীনে আনার পক্ষে রায় দেয়। তবে, ট্রাম্প প্রশাসন চাইছে সুপ্রিম কোর্ট যেন এই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। কারণ হিসেবে তারা জানাচ্ছে, DOGE-এর কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে, তা তাদের মূল কার্যক্রম ব্যাহত করবে। তাদের প্রধান কাজ হলো সরকারি দফতরগুলোতে অপচয়, দুর্নীতি ও অনিয়ম চিহ্নিত করা।
এই মামলার শুনানির মধ্যেই জানা যায়, DOGE-এর কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন ইলন মাস্ক। তিনি জানিয়েছেন, নিজের কোম্পানির দিকে আরও বেশি মনোযোগ দিতে চান তিনি।
এখানে উল্লেখ্য, এর আগেও DOGE-এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা হয়েছে। সেই মামলায় সংস্থাটিকে লক্ষ লক্ষ আমেরিকানের সামাজিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত রেকর্ডগুলো দেখার অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: CNN