মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে নিরাপত্তা বিষয়ক বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনা চলছে। সম্প্রতি, সামরিক পরিকল্পনার গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া, নির্বাচনের প্রক্রিয়া পরিবর্তন সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশের কারণেও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মাইক ওয়ালজ একটি ‘সিগন্যাল’ চ্যাট গ্রুপ তৈরি করেছিলেন, যেখানে সামরিক পরিকল্পনাসংক্রান্ত সংবেদনশীল কিছু তথ্য ছিল। সেই চ্যাট গ্রুপের মাধ্যমে তথ্য ফাঁসের ঘটনায় ওয়ালজ সম্পূর্ণ দায় স্বীকার করেছেন।
তিনি জানান, কিভাবে এই ঘটনা ঘটলো, তা তিনি এখনো নিশ্চিত করতে পারেননি। এই ঘটনায় ডেমোক্রেট সিনেটররা তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন এবং এর পেছনে জাতীয় নিরাপত্তার ঝুঁকি রয়েছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেছেন, এই তথ্য ফাঁসের কারণে মিত্র দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আস্থার অভাব দেখা দিতে পারে। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এমন ভুলগুলো কিভাবে মোকাবেলা করা হবে, সেদিকে নজর রাখতে হবে।
এদিকে, মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর তাদের কর্মীদের ‘সিগন্যাল’ ব্যবহারের বিষয়ে সতর্ক করেছে। তাদের মতে, রাশিয়ার হ্যাকিং গ্রুপগুলো এই অ্যাপের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে।
অন্যদিকে, ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসন বিষয়ক কিছু তথ্য প্রকাশ করতে ‘রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা’ নীতির আশ্রয় নিয়েছে। এর ফলে অভিবাসন প্রত্যাশীদের বিতাড়ন সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।
আরেকটি ঘটনায়, গাজা সংহতি আন্দোলনে জড়িত থাকার অভিযোগে এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ডিটেনশন জারির প্রক্রিয়াকে আদালত স্থগিত করেছেন। এছাড়া, ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি প্রতিকৃতি, যা তার দলের অনুসারীদের অর্থায়নে তৈরি করা হয়েছিল, সেটি কলোরাডো রাজ্যের ক্যাপিটল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও, ক্যালিফোর্নিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মী নিয়োগ স্থগিত করা হয়েছে এবং মার্চ মাসে মার্কিন ভোক্তাদের মধ্যে অর্থনৈতিক মন্দা ও মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে শঙ্কা বেড়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই বিষয়গুলো ট্রাম্প প্রশাসনের সময়কালের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোর মধ্যে অন্যতম।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান