ডোনাল্ড ট্রাম্প চলচ্চিত্র শিল্পের উপর শুল্ক আরোপের বিষয়ে তার আগের কঠোর অবস্থান থেকে কিছুটা নরম হয়েছেন। তিনি সম্প্রতি বলেছেন যে, চলচ্চিত্র শিল্পের ক্ষতি করার কোনো ইচ্ছা তার নেই।
বরং তিনি এই শিল্পের উন্নতি করতে চান। সিএনবিসি’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, তিনি খুব শীঘ্রই চলচ্চিত্র শিল্পের নেতাদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করতে চান।
তার মতে, এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত কর্মীদের ভালো রাখা দরকার, কারণ এর মাধ্যমে কর্মসংস্থান তৈরি হয়। শুরুতে ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন, বিদেশি ফিল্মের উপর তিনি ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে পারেন।
এর প্রতিক্রিয়ায় হলিউড এবং অন্যান্য অঞ্চলের মানুষের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা যায়। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউ som এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ফিল্ম প্রোডাকশনকে উৎসাহিত করতে ফেডারেল ট্যাক্স ইনসেনটিভের প্রস্তাব করেন। গভর্নর নিউ som এর মতে, ক্যালিফোর্নিয়ার চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন শিল্প রাজ্যের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি।
এটি রাজ্যের বিভিন্ন খাতে কয়েক লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান যোগান দেয়। তিনি আরও জানান, রাজ্যের ফিল্ম ও টেলিভিশন ট্যাক্স ক্রেডিট দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যা এখানে চলচ্চিত্র নির্মাণের ধারা অব্যাহত রাখতে সহায়ক হবে।
ক্যালিফোর্নিয়ার সিনেটর অ্যাডাম স্কিফও ট্রাম্পের শুল্ক প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন। একইসঙ্গে তিনি ফেডারেল ট্যাক্স ক্রেডিট স্কিমের পক্ষে সমর্থন জানান। তার মতে, “সকল চলচ্চিত্রের উপর এই ধরনের শুল্ক আরোপের ফলে অপ্রত্যাশিত এবং ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে।”
এদিকে, জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপক জিমি কিমেল এবং জিমি ফ্যালনও ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। কিমেল প্রশ্ন তুলেছেন, বিদেশি সিনেমা কীভাবে “জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি” হতে পারে?
ফ্যালন ঠাট্টা করে বলেন, “পরের ‘লর্ড অফ দ্য রিংস’ যদি নিউ জার্সির বেয়নে চিত্রায়িত হয়, তবে কেমন হবে?” ট্রাম্পের এই মন্তব্যের ফলে চলচ্চিত্র জগতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, এর ফলে বিশ্ব চলচ্চিত্র বাজারে অস্থিরতা তৈরি হতে পারে। তবে, ট্রাম্পের সুর নরম হওয়ায় অনেকে মনে করছেন, খুব শীঘ্রই হয়তো একটা সমাধান আসবে। তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান