ট্রাম্পের নতুন পছন্দের স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ! যা শুনলে চমকে যাবেন!

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে মনোনীত হওয়া একজন নারীর স্বাস্থ্য বিষয়ক ধারণা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ডা. কেইসি মিন্স নামের এই নারী বিভিন্ন জনপ্রিয় ওয়েবসাইটে স্বাস্থ্য বিষয়ক আলোচনা করেন। সেখানে তিনি জীবনযাত্রার ধরন ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধের উপর জোর দিয়েছেন।

একইসঙ্গে প্রচলিত কিছু ঔষধ এবং শিশুদের টিকা দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

ডা. মিন্স দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যখাতে পরিবর্তনের কথা বলে আসছেন। তিনি মনে করেন, আধুনিক জীবনযাত্রায় মানুষের শরীরে প্রবেশ করা দূষিত উপাদানগুলো বিভিন্ন রোগের মূল কারণ।

তার মতে, দূষিত বাতাস, খাদ্যে ভেজাল এবং অতিরিক্ত প্রযুক্তির ব্যবহারের কারণে মানুষের শরীরে মেটাবলিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে, যার ফলস্বরূপ ক্যান্সার, আলঝাইমার, স্থূলতা, এমনকি বন্ধ্যাত্বের মতো রোগ বাড়ছে।

ডা. মিন্সের মতে, এই সমস্যাগুলোর সমাধানে প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতির বাইরে গিয়ে মূল কারণগুলো খুঁজে বের করতে হবে। তিনি বিশ্বাস করেন, মানুষের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান সম্ভব।

তাই তিনি কীটনাশকমুক্ত ফল ও সবজি খাওয়ার পরামর্শ দেন এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার ও চিনি জাতীয় খাবার ত্যাগ করার কথা বলেন।

ডা. মিন্স প্রায়ই শিশুদের টিকা দেওয়ার সময়সূচী নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। বিশেষ করে নবজাতকদের হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসের টিকা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তিনি সন্দিহান।

তার মতে, যেহেতু গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় এই রোগ শনাক্ত করা যায়, তাই শিশুদের এত দ্রুত এই টিকা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিয়ে তিনি বলেছেন, এই ভ্যাকসিন বিষয়ক বাধ্যবাধকতা অনেক মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছিল।

ডা. মিন্সের এই ধারণাগুলোর সঙ্গে অনেক বিশেষজ্ঞের মতের মিল নেই। তারা মনে করেন, বিজ্ঞানীরা বহু বছর ধরে গবেষণা করে খাদ্যাভ্যাস এবং রোগের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করেছেন।

তাদের মতে, ক্যানোলা, সয়াবিন এবং ভুট্টার তেলের মতো বীজ তেল স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

ডা. মিন্স তার ওয়েবসাইটে স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি আধ্যাত্মিকতার উপর জোর দেন। তিনি মানুষকে তাদের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য উপলব্ধিবোধ এবং প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের পরামর্শ দেন।

যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ পদে একজন বিতর্কিত ব্যক্তির মনোনয়ন নিয়ে বর্তমানে আলোচনা চলছে। ডা. মিন্সের এই ভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য বিষয়ক ধারণাগুলো অনেকের কাছে নতুন হলেও, বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।

তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *