যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার দেশটির শীর্ষ স্বাস্থ্য বিষয়ক পদে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বকে মনোনয়ন দিয়েছেন। এই পদে তিনি বেছে নিয়েছেন কেইসি মিন্স নামক একজন স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শদাতাকে।
মিন্স এর আগে রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে কাজ করেছেন। বৃহস্পতিবার ট্রাম্প এক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘোষণা দেন।
এই ঘোষণার আগে, ট্রাম্পের আগের মনোনীত প্রার্থী জ্যানেট নেশেওয়াতের মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হয়। নেশেওয়াত এর বিরুদ্ধে তার চিকিৎসা বিষয়ক যোগ্যতা এবং কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিষয়ক বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।
ট্রাম্প তার পোস্টে উল্লেখ করেছেন, কেইসি মিন্সের “মেক আমেরিকা হেলদি এগেইন” বা ‘মাহা’ বিষয়ক অকাট্য প্রমাণ রয়েছে। তিনি আরও বলেন, মিন্স দীর্ঘদিন ধরে মানুষের স্বাস্থ্য ও সুস্থতা উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করছেন এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিষয়ক জটিলতা দূর করতে সহায়তা করবেন।
ট্রাম্পের মতে, কেইসি মিন্স যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অন্যতম সেরা সার্জন জেনারেল হতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সার্জন জেনারেল পদটি দেশটির স্বাস্থ্যখাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পদের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি, জনসাধারণের স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন বিষয় দেখাশোনা করেন এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কে পরামর্শ দেন।
এই পদে কাজ করা ব্যক্তি সরাসরি ৬,০০০ এর বেশি সরকারি স্বাস্থ্যকর্মীর ওপর নজর রাখেন।
জ্যানেট নেশেওয়াত এর আগে ফক্স নিউজে নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ দিতেন। তিনি ট্রাম্পের একজন সমর্থক হিসেবে পরিচিত।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তাদের একসঙ্গে ছবি দেখা যায়। জানা গেছে, নেশেওয়াত এর শ্বশুরমশাই মাইক ওয়াল্টজ, যিনি বর্তমানে জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত হিসেবে ট্রাম্পের মনোনয়ন পেয়েছেন।
তবে, কেইসি মিন্স এর মনোনয়ন নিয়েও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ট্রাম্পের কট্টর সমর্থক লরা লুমের সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন, নেশেওয়াত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সমর্থন করেন এবং তার বিরুদ্ধে একটি চিকিৎসা সংক্রান্ত মামলাও চলছে।
এছাড়াও, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো মেডিকেল কলেজ থেকে ডিগ্রি অর্জন করেননি।
এই বিতর্কের কারণে, ট্রাম্প এর আগে স্বাস্থ্য বিষয়ক আরও একজন মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছিলেন। মার্চ মাসে, তিনি রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (Centers for Disease Control and Prevention – CDC)-এর প্রধান হিসেবে ডেভ ওয়েলডনের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন।
ভ্যাকসিন নিয়ে তার সন্দেহ প্রকাশ করার কারণে রিপাবলিকান সিনেটরদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছিল।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস