মার্কিন নিরাপত্তা: বাইডেন-হ্যারিসকে টার্গেট করে ট্রাম্পের কড়া অ্যাকশন!

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের উপর প্রতিশোধ নেওয়ার অংশ হিসেবে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং আরও কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তার নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল করেছেন। শুক্রবার এক নির্দেশনায় ট্রাম্প এই সিদ্ধান্ত জানান।

নির্দেশনায় ট্রাম্প উল্লেখ করেন, তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা ছাড়পত্র এবং সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় তাদের প্রবেশাধিকার বাতিল করার নির্দেশ দিচ্ছেন। সাধারণত, সাবেক প্রেসিডেন্ট ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা ছাড়পত্র বহাল থাকে, তবে ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ ব্যতিক্রম।

বাইডেন ও হ্যারিস ছাড়াও, যাদের নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সুলিভান, এবং হিলারি ক্লিনটন। এছাড়াও, বাইডেনের পরিবারের কয়েকজন সদস্যের নামও রয়েছে এই তালিকায়।

ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর আগে, ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন বাইডেনও তার নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল করেছিলেন। ট্রাম্প এখনও পর্যন্ত, ২০২০ সালের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করে আসছেন, যদিও এর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধেও হোয়াইট হাউজের গোপন নথি নিজের মার-এ-লাগো রিসোর্টে রাখার অভিযোগ উঠেছিল। যদিও তিনি ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার পর সেই অভিযোগের তদন্ত বন্ধ হয়ে যায়।

ট্রাম্পের তালিকায় থাকা কর্মকর্তাদের মধ্যে অনেকেই বাইডেনের ডেমোক্রেটিক প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। তবে রিপাবলিকান দলের সাবেক আইনপ্রণেতা এবং ট্রাম্প সমালোচক লিজ চেনিও এই তালিকায় রয়েছেন। এছাড়া, ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত গোয়েন্দা বিশ্লেষক ফিওনা হিল, যিনি ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান উভয় সরকারের অধীনে কাজ করেছেন, এবং ইউক্রেন-জাত প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তা আলেকজান্ডার ভিনম্যানও রয়েছেন এই তালিকায়।

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক আইনজীবী মার্ক জেইদ এবং ট্রাম্পের কড়া সমালোচক, সাবেক রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা অ্যাডাম কিঞ্জিঙ্গারও রয়েছেন নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে।

তথ্যসূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *