ট্রাম্পের শুল্ক: জেনেরিক ওষুধের বাজারে কি বড় দুঃসংবাদ?

ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমদানি শুল্কের পরিকল্পনা, যা ঔষধ শিল্পের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ওষুধ শিল্পের উপর শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছেন। এই পদক্ষেপের ফলে ঔষধের সরবরাহ কমে যেতে পারে, দাম বাড়তে পারে এবং এর সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রোগীদের উপর।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই শুল্ক মূলত চীন এবং ভারত থেকে আসা ঔষধের কাঁচামালের উপর আরোপ করা হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, ট্রাম্পের এই শুল্কের কারণে জেনেরিক ঔষধ প্রস্তুতকারকদের ব্যবসা করা কঠিন হয়ে পড়বে। কারণ, তাদের পক্ষে এই অতিরিক্ত খরচ বহন করা ব্র্যান্ড-নামের ঔষধ প্রস্তুতকারকদের তুলনায় কঠিন হবে।

এর ফলস্বরূপ, ঔষধের ঘাটতি দেখা দিতে পারে এবং ঔষধের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যেতে পারে।

বর্তমানে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ২৭০টি ঔষধের সংকট চলছে। যদি এই শুল্ক কার্যকর করা হয়, তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

কারণ, অনেক জেনেরিক ঔষধের উপাদান তৈরি করে হাতে গোনা কয়েকটি কোম্পানি। কোনো একটি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যদি উৎপাদন বন্ধ করে দেয়, তবে ঔষধ পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। এমন পরিস্থিতিতে ঔষধের দাম বাড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।

ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে জানা যায়, তিনি চান আমেরিকার অভ্যন্তরে ঔষধ উৎপাদন বৃদ্ধি করতে। তার মতে, দেশের সুরক্ষার জন্য বিদেশি ঔষধের উপর নির্ভরতা কমানো জরুরি।

তিনি মনে করেন, কোনো যুদ্ধ বা সংকটের সময় অন্য দেশের উপর নির্ভরশীল থাকলে সমস্যা হতে পারে।

মার্কিন বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিক জানিয়েছেন, আগামী এক থেকে দুই মাসের মধ্যে এই শুল্ক ঘোষণা করা হতে পারে। তবে, এই শুল্কের কারণে ঔষধ প্রস্তুতকারকরা তাদের কার্যক্রম সহজে আমেরিকাতে সরিয়ে আনতে পারবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এই পরিস্থিতিতে, ঔষধের বাজার এবং রোগীদের উপর কী প্রভাব পড়বে, তা এখন দেখার বিষয়। যদিও এখনো বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে, এর ফলে ভোক্তাদের উপর আর্থিক চাপ বাড়বে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই শুল্ক ভারত ও চীন থেকে আসা ঔষধের কাঁচামালের উপর বেশি প্রভাব ফেলবে। কারণ, এই দুটি দেশ থেকেই জেনেরিক ঔষধের একটি বড় অংশ সরবরাহ করা হয়।

এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ঔষধ শিল্পের উপর কোনো প্রভাব পড়বে কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে, যদি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ঔষধের দাম বা সরবরাহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সেক্ষেত্রে বিশ্ববাজারে এর একটা প্রভাব পড়তে পারে।

বাংলাদেশের ঔষধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোকেও পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করতে হতে পারে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *