যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কনীতি: বাংলাদেশের জন্য এর অর্থ কী?
বিশ্ব অর্থনীতির বাজারে আবারও অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন, বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করা হবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে বিশ্বের প্রায় সকল দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যার প্রভাব বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও পড়তে পারে।
আগামী ৭ই আগস্ট থেকে এই নতুন শুল্কনীতি কার্যকর হবে। এর আওতায়, যে সকল দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে, তাদের থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক বসানো হবে। অন্যদিকে, যে ৪০টি দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে, তাদের থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক ধার্য করা হবে।
এমনকি, ব্রাজিল সহ কিছু দেশের ক্ষেত্রে এই শুল্কের পরিমাণ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এই শুল্কনীতি নজিরবিহীন। ১৯৩৩ সালের পর এত উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করা হয়নি, যা সেই সময়ের মহামন্দার পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলেছিল। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিশ্ব অর্থনীতিতে এর প্রভাব কেমন হবে, তা এখন দেখার বিষয়।
এই শুল্কনীতির কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের চাহিদা কমতে পারে, যা দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে এমন দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরো কঠিন হয়ে যেতে পারে।
তবে, কোনো কোনো বিশ্লেষক মনে করেন, এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জন্য নতুন বাজার তৈরির সম্ভাবনাও সৃষ্টি হতে পারে।
এই শুল্কনীতি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কতটা প্রভাব ফেলবে, তা এখনই বলা কঠিন। তবে, সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং দেশের স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশা করা যায়।
তথ্য সূত্র: সিএনএন