মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, আর এর মধ্যেই ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের ওপর মার্কিন বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে একটি নতুন সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, যা আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।
খবর অনুযায়ী, সম্প্রতি ট্রাম্প ইরানকে আক্রমণাত্মক ভাষায় সতর্ক করেছেন। তবে, তিনি ঠিক কী বলেছেন, তা এখনো বিস্তারিতভাবে জানা যায়নি। অন্যদিকে, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে মার্কিন সামরিক বাহিনী নিয়মিতভাবে অভিযান চালাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এই হামলাগুলো হুতি বিদ্রোহীদের দ্বারা আন্তর্জাতিক নৌপথগুলোতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার কারণে করা হচ্ছে। হুতি বিদ্রোহীরা ইরানের সমর্থনপুষ্ট একটি গোষ্ঠী এবং তারা দীর্ঘদিন ধরে ইয়েমেনের ক্ষমতা দখলের জন্য লড়াই করছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সামরিক পদক্ষেপের কারণে ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা আরও বেড়েছে। ইরানের পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে এবং এই অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে একটি নতুন যুদ্ধের সম্ভবনা বাড়ছে, যা বিশ্ব অর্থনীতি, বিশেষ করে তেলের বাজারে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।
ইয়েমেনে চলমান এই সংঘাত বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ মধ্যপ্রাচ্যে অনেক বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করেন। এছাড়া, তেলের দাম বাড়লে তা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সরাসরি প্রভাব ফেলবে।
তাই, এই অঞ্চলের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহল মনে করছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো উত্তেজনা প্রশমন করা। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা উচিত, যাতে কোনো ধরনের বড় ধরনের সংঘাত এড়ানো যায়।
এছাড়া, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই বিষয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা