ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কের হুমকি, বিশ্ব বাজারে অস্থিরতা।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের ঘোষণার পর বিশ্ব শেয়ার বাজারে বড় ধরনের দরপতন হয়েছে। শুক্রবার সকালে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, যদি অ্যাপল তাদের আইফোনগুলো যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি করতে রাজি না হয়, তাহলে তাদের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।
এর কিছু সময় পরেই তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেন।
এই ঘোষণার পরই শেয়ার বাজারগুলোতে অস্থিরতা দেখা দেয়। তাৎক্ষণিকভাবে, ডাউ জোন্স ফিউচার ৬০০ পয়েন্টের বেশি (১.৪%) হ্রাস পায়।
এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচকও ১.৪% কমে যায়, এবং প্রযুক্তি নির্ভর নাসডাকের ফিউচার ১.৮% নিচে নেমে আসে। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের পদক্ষেপ বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগের কারণ হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের এই ঘোষণার ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে নতুন করে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। শুল্ক আরোপের ফলে বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং এর নেতিবাচক প্রভাব বিশ্বজুড়ে অনুভূত হবে।
আর্থিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা তাদের পোর্টফোলিও পুনরায় মূল্যায়ন করতে পারে। অনেক বিনিয়োগকারী তাদের বিনিয়োগের কৌশল পরিবর্তন করতে পারেন, যা বাজারের আরও অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।
এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে, বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও এর কিছু প্রভাব পড়তে পারে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অস্থিরতা দেখা দিলে, বাংলাদেশের রপ্তানি-নির্ভর শিল্প, বিশেষ করে পোশাক শিল্পের ওপর এর একটি প্রভাব পড়তে পারে।
এছাড়া, বিশ্ব অর্থনীতির এই টালমাটালের কারণে টাকার বিপরীতে ডলারের মূল্যেও পরিবর্তন আসতে পারে। যদিও এই মুহূর্তে এর সরাসরি প্রভাব বোঝা যাচ্ছে না, তবে আন্তর্জাতিক বাজারের গতিবিধির ওপর আমাদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে, বিনিয়োগকারীদের বাজারের অস্থিরতা বিবেচনা করে তাদের বিনিয়োগের বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন