যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তার সংবেদনশীল সামরিক পরিকল্পনা আদান-প্রদান নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। হোয়াইট হাউসের কয়েকজন কর্মকর্তার সিগন্যাল গ্রুপ চ্যাটে সামরিক পরিকল্পনার বিস্তারিত তথ্য ফাঁস হয়, যা নিয়ে আলোচনা চলছে।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করা হচ্ছে, এমনটাই জানা গেছে।
জানা গেছে, এই ঘটনায় জড়িত কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করার কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ, ট্রাম্প সম্ভবত এই ঘটনার দায় স্বীকার করতে চান না।
একটি সূত্রের খবর অনুযায়ী, ট্রাম্প মনে করেন, এই ঘটনা সামান্য এবং এর তেমন কোনো গুরুত্ব নেই।
আলোচিত ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন আটলান্টিক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয় ওই চ্যাট গ্রুপের কথোপকথন। যেখানে ইয়েমেনে হাউছি বিদ্রোহীদের ওপর হামলার বিস্তারিত পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন মাইক ওয়াল্টজ ও পিট হেগসেথ।
আটলান্টিক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত চ্যাটলগ অনুযায়ী, আক্রমণের সময়সূচি, যুদ্ধ বিমানের উড্ডয়নের সময় এবং প্রথম বোমা নিক্ষেপের মতো সংবেদনশীল সামরিক তথ্য সেখানে আদান-প্রদান করা হয়। এমনকি, একটি বার্তায় লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার বিষয়ে তাৎক্ষণিক তথ্যও দেওয়া হয়।
মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী, এ ধরনের বিস্তারিত সামরিক পরিকল্পনা সাধারণত ‘গোপনীয়’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। এমনকি, কিছু ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক আপডেটের কারণে তথ্যের শ্রেণিবিন্যাস আরও উচ্চ পর্যায়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে।
তবে, হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই বার্তাগুলোর কোনোটিই গোপন ছিল না। যদিও সমালোচকরা বলছেন, হামলার বিস্তারিত পরিকল্পনা আগেভাগে প্রকাশ করা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।
এই ঘটনার জেরে সামরিক পরিকল্পনার মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা এবং গোপনীয়তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান