মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কি ভেনেজুয়েলার সরকার পরিবর্তনে আগ্রহী? ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে দেশটির বিরুদ্ধে গোপন সাইবার হামলা চালানোর প্রমাণ মিলেছে, যা আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
সম্প্রতি, দেশটির উপর সামরিক শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে যেন সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে ভেনেজুয়েলার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।
এর মধ্যে ছিল দেশটির গোয়েন্দা বিভাগের কম্পিউটার নেটওয়ার্কে গোপনে সাইবার হামলা চালানো।
সিআইএ’র (CIA) চালানো এই হামলা সফল হলেও, মাদুরোকে ক্ষমতা থেকে সরাতে তা যথেষ্ট ছিল না।
মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানা যায়, ট্রাম্প প্রশাসন ভেনেজুয়েলার বিষয়ে আরও আগ্রাসী পদক্ষেপ নিতে চেয়েছিল।
কিন্তু পেন্টাগন এবং অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের মধ্যে দ্বিধা ছিল।
এরপর, সরকার পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে বিরোধী নেতা হুয়ান গুইদোকে সমর্থন জানানো হয়।
যদিও, মাদুরোর বিরুদ্ধে তেমন কোনো জনমত তৈরি হয়নি।
ফলে গুইদোর ক্ষমতা গ্রহণের চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
ভেনেজুয়েলার বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের এই কৌশলগত ব্যর্থতা তাদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি করে।
এরপরে, সাইবার হামলা এবং গোপন অভিযানের মাধ্যমে ভেনেজুয়েলার উপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়।
এমনকি, রাশিয়ান ভাড়াটে সৈন্য, ওয়াগনার গ্রুপের স্যাটেলাইট যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত করতেও সাইবার হামলা চালানো হয়।
বর্তমানে, ভেনেজুয়েলার উপকূলে বিপুল সংখ্যক মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
সামরিক শক্তি প্রদর্শনের পাশাপাশি, দেশটির উপর সরাসরি হামলার সম্ভাবনাও বিবেচনা করা হচ্ছে।
যদিও, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মাদক পাচার বন্ধের উদ্দেশ্যে এই সামরিক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
তবে, আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, এর পেছনে সরকার পরিবর্তনের বৃহত্তর পরিকল্পনা থাকতে পারে।
ভেনেজুয়েলার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে, দেশটির উপর অর্থনৈতিক চাপ আরও বাড়ানো হতে পারে।
দেশটির গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি, তাদের সম্পদ জব্দ করারও সম্ভাবনা রয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপগুলো আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন মেরুকরণ সৃষ্টি করতে পারে।
বিশেষ করে, ভেনেজুয়েলার ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশগুলোর মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন