যুক্তরাষ্ট্রের ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ের কারণ অনুসন্ধান করে নতুন এক বিশ্লেষণ প্রকাশ করেছে একটি ডেটা বিশ্লেষণকারী সংস্থা। এই বিশ্লেষণে দেখা গেছে, নির্বাচনে ট্রাম্পের সাফল্যের পেছনে মূল কারণ ছিলেন কম রাজনীতি সচেতন ভোটাররা।
ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিসের প্রতি তাদের সমর্থন কমে যাওয়ায় ট্রাম্পের জয় সহজ হয়। নির্বাচনে সাধারণত ডেমোক্রেটদের সমর্থন করে আসা কিছু ভোটার গোষ্ঠীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা গেছে।
এদের মধ্যে তরুণ ভোটার, সংখ্যালঘু এবং শহরের ভোটাররা উল্লেখযোগ্য। বিশ্লেষণ অনুযায়ী, নিয়মিত ভোট দেন এমন ভোটারদের মধ্যে ডেমোক্রেটদের সমর্থন আগের মতোই ছিল। তবে অনিয়মিত ভোটারদের সমর্থন কমে যাওয়ায় হ্যারিসকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে।
ডাটা বিশ্লেষণকারী সংস্থা ‘ক্যাটা লিস্ট’-এর এই বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে অনিয়মিত ভোটাররা। এই ভোটাররা সাধারণত তরুণ, শ্বেতাঙ্গ নন এবং শহরে বসবাস করেন।
তবে তাদের মধ্যে কলেজ ডিগ্রিধারীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম, যা রিপাবলিকানদের জন্য ইতিবাচক ছিল। বিশ্লেষণে আরও দেখা যায়, হ্যারিস ২০১৬ ও ২০২০ সালের ডেমোক্রেটিক প্রার্থীদের চেয়ে কম ভোট পেয়েছেন।
উদাহরণস্বরূপ, যারা আগে ভোট দেননি, কিন্তু ২০২৪ সালে দিয়েছেন, তাদের অর্ধেকেরও কম ভোট পেয়েছেন হ্যারিস। এছাড়াও, লিঙ্গগত বিভাজনও স্পষ্ট হয়েছে।
পুরুষ ভোটারদের মধ্যে, বিশেষ করে তরুণ এবং ল্যাটিনো পুরুষদের মধ্যে ডেমোক্রেটদের সমর্থন উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। শহরের কেন্দ্রগুলোতেও ডেমোক্রেটিক সমর্থন কমেছে, যা আগের নির্বাচনগুলোর তুলনায় ভিন্ন চিত্র।
ক্যাটা লিস্টের এই বিশ্লেষণ নির্বাচনে ভোটারদের আচরণ এবং বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে ভোটের প্রবণতা সম্পর্কে নতুন তথ্য সরবরাহ করে। এটি জরিপের ফলাফলের সঙ্গেও মিলে যায়।
বিশ্লেষণে দেখা যায়, হ্যারিসের প্রতি ল্যাটিনো ভোটারদের সমর্থন কমেছে, যা সামগ্রিকভাবে ডেমোক্রেটদের জন্য একটি উদ্বেগের কারণ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বিশ্লেষণ আসন্ন নির্বাচনগুলোতে দলগুলোর কৌশল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তবে নির্বাচনের ফলাফল বিভিন্ন কারণের ওপর নির্ভরশীল, তাই প্রতিটি বিষয়কে আলাদাভাবে বিবেচনা করা কঠিন। তথ্যসূত্র: সিএনএন