মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক অঙ্গনে সহিংসতার মাত্রা নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের করা দাবির সত্যতা কতটুকু, তা নিয়ে একটি নতুন বিশ্লেষণ প্রকাশ হয়েছে। বিভিন্ন গবেষণা এবং জরিপের আলোকে দেখা যাচ্ছে, ডানপন্থী আদর্শের অনুসারীদের তুলনায় বামপন্থীদের সহিংসতায় জড়িত থাকার প্রবণতা তুলনামূলকভাবে অনেক কম।
খবরটি জানিয়েছে সিএনএন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রায়ই তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের, বিশেষ করে বামপন্থীদের, ওপর সহিংসতার অভিযোগ তুলেছেন। তিনি তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাঁর এই পদক্ষেপের কারণ হিসেবে প্রায়ই বামপন্থী আদর্শের অনুসারীদের সহিংসতার সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়টি উল্লেখ করেন।
তবে, বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ট্রাম্পের এই দাবি সবসময় সঠিক নয়। ক্যাটো ইনস্টিটিউটের একটি গবেষণায় গত ৫০ বছরে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হত্যাকাণ্ডের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, ডানপন্থীideology-র কারণে সংঘটিত হয়েছে ৩৯১টি মৃত্যু, যেখানে বামপন্থী আদর্শের কারণে হয়েছে মাত্র ৬৫টি মৃত্যু।
অন্যদিকে, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ জাস্টিস (এনআইজে)-এর তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯০ সাল থেকে ideologically motivated হামলায় চরম ডানপন্থীদের হাতে নিহত হয়েছে ৫২০ জন, যেখানে চরম বামপন্থীদের হাতে নিহত হয়েছে ৭৮ জন।
এই পরিসংখ্যানগুলো থেকে সহিংসতার ক্ষেত্রে ডানপন্থীদের সংশ্লিষ্টতা বেশি দেখা যায়।
সহিংসতাকে সমর্থন করার প্রশ্নেও ভিন্ন চিত্র পাওয়া যায়। সিবিএস নিউজ-ইউগভ (CBS News-YouGov)-এর একটি জরিপে দেখা গেছে, ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে ৩১ শতাংশ এবং রিপাবলিকানদের ১৯ শতাংশ রাজনৈতিক সহিংসতার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
নেটওয়ার্ক কনটেজিয়ন রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এনসিআরআই) নামক একটি সংস্থার জরিপে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইলন মাস্ক-এর হত্যার ন্যায্যতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, বামপন্থীদের মধ্যে একটি অংশ (ট্রাম্পের ক্ষেত্রে ৫৫% এবং মাস্কের ক্ষেত্রে ৪৮%) এই ধরনের কাজের পক্ষে মত দিয়েছেন।
তবে, এই ধরনের জরিপের ফলাফল নির্বাচনের সময় দ্রুত পরিবর্তন হতে পারে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সহিংসতার প্রশ্নে ডেটা বা তথ্যের বিশ্লেষণ সব সময় পরিষ্কার নয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক আদর্শের অনুসারীদের সহিংসতায় জড়িত থাকার কারণ এবং সমর্থনের বিষয়টি জটিল।
তবে, বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, সহিংসতার সঙ্গে ডানপন্থী আদর্শের যোগসূত্র বেশি।
তথ্য সূত্র: CNN