হোয়াইট হাউসে পালাবদল, ট্রাম্পের আমলে চিত্রকলার পরিবর্তন।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার মেয়াদে হোয়াইট হাউসের চিত্রকলার বিন্যাসে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছেন। এই পরিবর্তনের অংশ হিসেবে হিলারি ক্লিনটনের প্রতিকৃতির বদলে রিপাবলিকান দলের সাবেক ফার্স্ট লেডি প্যাট্রিসিয়া নিক্সনের একটি প্রতিকৃতি স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়াও, ট্রাম্পের মুখাবয়ব এবং মার্কিন পতাকার সম্মিলিত একটি নতুন চিত্রকর্ম যুক্ত করা হয়েছে, যা তৈরি করেছেন ‘ম্যাগা অ্যাঞ্জেলো’ নামের একজন শিল্পী।
হোয়াইট হাউসের ইস্ট উইং-এ এই পরিবর্তনগুলো আনা হয়েছে। হিলারি ক্লিনটনের প্রতিকৃতি বর্তমানে আরকানসাসের ক্লিনটন প্রেসিডেন্টসিয়াল সেন্টারে প্রদর্শিত হচ্ছে।
হোয়াইট হাউস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা ক্লিনটনের প্রতিকৃতি অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয়নি, বরং নতুন করে চিত্রকর্ম স্থাপনের ব্যবস্থা করেছে।
নতুন যুক্ত হওয়া ট্রাম্পের প্রতিকৃতিটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কারণ এটি ‘ম্যাগা অ্যাঞ্জেলো’র তৈরি, যিনি এর আগে মেলানিয়া ট্রাম্প এবং রোনাল্ড রেগানের প্রতিকৃতি তৈরি করে পরিচিতি লাভ করেছেন।
এই চিত্রকর্মটি ট্রাম্পের সমর্থকদের মধ্যে ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ (MAGA) আন্দোলনের প্রতিচ্ছবি বহন করে।
ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর, হোয়াইট হাউসে চিত্রকলার পরিবর্তন এটিই প্রথম নয়। এর আগে, গ্র্যান্ড ফয়ারে বারাক ওবামার প্রতিকৃতির বদলে, একটি নতুন চিত্রকর্ম স্থাপন করা হয়েছিল।
যেখানে দেখা যায়, ট্রাম্প একটি সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় তার কানে গুলি লাগে।
ঐতিহ্যগতভাবে, গ্র্যান্ড ফয়ারে সাধারণত সাম্প্রতিক দুই প্রেসিডেন্টের প্রতিকৃতি প্রদর্শিত হয়। কিন্তু ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের কারণে, সেখানে ওবামার প্রতিকৃতি সরিয়ে দেওয়া হয়।
পরে, জর্জ ডব্লিউ বুশের প্রতিকৃতিও অন্য স্থানে স্থাপন করা হয়।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদেও এমন পরিবর্তন দেখা গিয়েছিল। সে সময় তিনি গ্র্যান্ড ফয়ারে বিল ক্লিনটন এবং জর্জ ডব্লিউ বুশের প্রতিকৃতির পরিবর্তে উইলিয়াম ম্যাককিনলে এবং থিওডোর রুজভেল্টের প্রতিকৃতি স্থাপন করেছিলেন।
এছাড়াও, ট্রাম্পের শাসনামলে ওভাল অফিসের বাইরে তার একটি ‘মগ শট’-এর (আসামীর ছবি) ফ্রেমবন্দী ছবি এবং ডিক্ল্যারেশন অফ ইন্ডিপেন্ডেন্সের (স্বাধীনতা ঘোষণা) একটি অনুলিপি প্রদর্শন করা হয়।
হোয়াইট হাউসে এসব পরিবর্তন আমেরিকার রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বিশেষ স্থান রাখে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের পদক্ষেপ দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং ভাবমূর্তির ওপর গভীর প্রভাব ফেলে।
তথ্য সূত্র: পিপল